শিরোনাম

৩ ক্লাস পাশ মেম্বার সাংবাদিককে কেন মারবে? ক্ষোভ এলাকাবাসীর - Chief TV - চিফ টিভি

৩ ক্লাস পাশ মেম্বার সাংবাদিককে কেন মারবে? ক্ষোভ এলাকাবাসীর - Chief TV - চিফ টিভি
ছবিঃ প্রতীকী

ফয়সাল হোসাইন সনি, চিফ টিভিঃ

বগুড়া জেলার গাবতলী থানাধীন সুখানপুকুর ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি সদস্য উজ্জ্বল কর্তৃক স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী শ্যামল সরকারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে । ১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। পরে ২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার থানায় অভিযোগ করা হয়। 

এ বিষয়ে গাবতলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে যে সুখানপুকুর বাজারে ২ ইউপি সদস্যদের হাতাহাতি চলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমকর্মী শ্যামল তার ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করে।

পোস্ট টিতে লেখা ছিলো এক মহিলা মেম্বার এক পুরুষ মেম্বারকে জুতা পেটা করেছে। পরে সেই ইউপি সদস্য গণমাধ্যমকর্মীকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। মারধরের ঘটনা ঘটার পরই গণমাধ্যমকর্মী শ্যামল গাবতলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। 

এ বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী শ্যামল সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ফেইসবুকে পোস্ট করায় সে আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। আমি এর বিচারের দাবীতে থানায় অভিযোগ করেছি। আমি গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে লাঞ্চিত হয়েছি। এটা আমাকে মারা না, এটা জাতির বিবেককে আঘাত করা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কজনের কাছে জানা যায় ইউপি সদস্য উজ্জ্বল বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। সে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করে বলে কাউকে পরোয়া করেনা। যখন যেটা মন চায় সেটাই করে।  এলাকাবাসী আরও জানায় - ৩ ক্লাস পাশ মেম্বার সাংবাদিকে কেন মারবে? এর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।

তবে বিষয়টি নিয়ে মহিলা ইউপি সদস্য ববিতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- যে ঘটনা নিয়ে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল গণমাধ্যমকর্মী শ্যামল কে মারধর করেছে, বিষয়টি খুবই ছোট্ট একটি ঘটনা ছিলো। মূল ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন চা খাওয়া নিয়ে আমি ও আরেক ইউপি সদস্যের মাঝে ইয়ারকি ফাজলামো হয় আর ইয়ারকি ফাজলামোর খাতিরেই আমি তাকে আমার পায়ের জুতা খুলে মেরেছি। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মী শ্যামলকে মারধর করার বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি সত্য না মিথ্যা এই টা আমার জানা নাই। যদি ঘটনাটি সত্য হয় তাহলে খুবই দুঃখ জনক, তাহলে এই টা আসলে উজ্জল সাহেব ঠিক করে নাই। 

বিষয়টি নিয়ে ০৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ নুরুল ইসলাম উজ্জল জানান- এই মহিলা মেম্বার কোন এক মেম্বারকে জুতা দিয়ে মারছে এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে আমার নামে যেই অভিযোগ টি গণমাধ্যমকর্মী শ্যামল থানায় দিয়েছে এই অভিযোগটির কোন ভিত্তি নেই একদম মিথ্যা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, আপনি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে এই বিষয়ে সব জানতে পারবেন।

তার নামে বিভিন্ন অপরাধ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- কারোর ভালো কেউ দেখতে পারেনা। একজন জনপ্রতিনিধির অনেক ধরনের শত্রু থাকে। যারা আমার নামে এই অভিযোগ গুলো দিচ্ছে তারা নিশ্চয়ই আমার শত্রু, কেউ আমার নামে এই অভিযোগ গুলোর প্রমাণ দিতে পারবে না। 

অভিযোগ তদন্তকারি কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ টি তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত সাপেক্ষে যার নামে অভিযোগ দেয়া হয়েছে সে যদি দোষী হয়, অবশ্যই আইন অনুযায়ী যা করনীয় সেই টা আমরা করবো। 

ঘটনার সত্যতা জানিয়ে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, আমার থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে, অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই