শিরোনাম

ঝিনাইদহের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প, পাম্প নষ্টের অজুহাতে বন্ধ - Chief TV - চিফ টিভি

ঝিনাইদহের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প, পাম্প নষ্টের অজুহাতে বন্ধ - Chief TV - চিফ টিভি
ছবিঃ প্রতিনিধি

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

পাম্প নষ্টের অজুহাতে বোরো মৌসুমে এবারও পানি দিচ্ছে না ঝিনাইদহের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প। এতে ঝিনাইদহ অংশের হাজার হাজার কৃষকের বাড়ছে উৎপাদন খরচ। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কুষ্টিয়ায় ৩ টি পাম্পের মধ্যে ২ টি পাম্প নষ্ট হওয়ায় ঝিনাইদহ ও মাগুরায় পানি সরবরাহ করেনি তারা। দ্রুত নষ্ট পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহের দাবী কৃষকসহ সচেতন মহলের।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল এটি। গত মৌসুমে এই খালে কিছুটা পানি সরবরাহ করা হলেও এমৌসুমে পানি সরবরাহ করা হয়নি। বোরো’র ভরা মৌসুমে খাঁ খাঁ করছে খালটি।

এই খালের পাশেই ধানের আবাদ করতে ডিজেল চালিত সেচ পাম্প থেকে পানি নিচ্ছে ওই এলাকার কৃষকরা। সেচ পাম্পের পানি দিয়ে কোন জমিতে চলছে প্রস্তুত আবার কোন জমিতে চলছে ধানের চারা রোপন। অথচ সেচ অন্যান্য বছর এই খালের পানি দিয়েই ধানের আবাদ করতেন তারা।

কৃষকরা বলছেন, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে খরচ হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু এখন ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পানি দিয়ে আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এছাড়াও জিকের পানিতে ধানের ফলন ও বেশি হয়। তাই ভরা এই মৌসুমে দ্রুত পানি সরবরাহের দাবি তাদের।

গাড়াগঞ্জ এলাকার কৃষক আরিফ হোসেন জানান, ভরা মৌসুমে জিকে খালে পানি না থাকায় চাষাবাদ মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। তাই আমরা বোরো মৌসুমে যাতে ধানের আবাদ ঠিক মত করতে পারি সেই জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত নষ্ট পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহের দাবী জানাচ্ছি।

গাড়াগঞ্জ এলাকার অপর কৃষক আজাদ বিশ্বাস জানান, জিকে সেচ খালের পানি না দেওয়ায় আমরা সময় মতো ধান চাষ করতে পারছি না। তাই দ্রুত পানি পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহের দাবি করছি। দ্রুত পানি দিলে এলাকার ধান চাষিরা ধান চাষ করতে পারবে।

কৃষি উদ্যোক্তা সজিবুল ইসলাম জানান, ভরা এই মৌসুমে দ্রুত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না করা হলে আমরা ধানের ফলন কম পাবো। এতে করে কৃষকেরা মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাই আমি দ্রুত সেচের পানি সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্থক্ষেপ কামনা করছি।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব জানান, আমরা পানি সরবরাহের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় জিকে সেচ খালের আওতায় সেচ যোগ্য জমি রয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর।

কোন মন্তব্য নেই