ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে - Chief TV - চিফ টিভি
চিফ টিভি, ডেস্কঃ
মোহন নামে এক ঠিকাদার বন্ধুর কাছে ধারের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে বিয়ে করে। সেই স্ত্রী তিনজন লোক পাঠায় তাকে মারধরের জন্য এবং তারা ধাওয়া করে মোহনকে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে মোহন অবরুদ্ধ অবস্থায় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়।
ফতুল্লার সাইনবোর্ড তুষারধারা এলাকায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে।
মোহন তুষারধারা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। বাসার পাশেই তার এক বন্ধু সপরিবারে বসবাস করতেন। সেই বন্ধুর কাছে মোটা অংকের টাকা পাওনা ছিলেন মোহন। একপর্যায়ে তার বন্ধু টাকা দিতে না পারায়, ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে পালিয়ে যান। তারপর মোহন তার বন্ধুর স্ত্রী সাথী আক্তারকে টাকার জন্য চাপ দেন।
এ বিষয়ে মোহন বলেন, সাথীকে প্রথমে মৌখিকভাবে বিয়ে করি। পরে কাজির মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা কাবিন করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করি। বিয়ের পর থেকে তার নিয়মিত ভরণ পোষণ দিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার বিয়ে করা স্ত্রী (সাথী আক্তার) হওয়া সত্ত্বেও আমাকে ঘরে থাকতে দিতোনা। কারণ, সাথীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, বিষয়টি আমি জানতাম আর আমার কাছে এসবের প্রমাণও আছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে সাথী আমাকে মারধর করতে চায়, ঘর থেকে বের করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন সাথীর ফ্ল্যাটে রাত প্রায় ১২টার সময় গিয়ে দরজার কড়া নাড়ি। একপর্যায়ে জোরে দরজা ধাক্কা দিলে সাথী গালাগাল করে চলে যেতে বলে। পরে আমি অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মারধরের জন্য সে তিনজন লোক পাঠায়। তখন মারধর থেকে বাঁচতে দৌড় দিলে তারা আমার পিছু নেয়। জীবন বাঁচানোর জন্য সড়কের পাশে কচুখেতের ভেতর ঢুকে পড়ি।
তারা আমাকে পানিতে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তখন প্রথম স্ত্রীকে ফোন করে তার সহযোগিতা চাই। পরে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ সদস্যরা মোহনকে ভেজা অবস্থায় দেখতে পান। অন্য কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। তবে এখনও এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
কোন মন্তব্য নেই