শিরোনাম

শাজাহানপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতের আধারে চলছে মাটি কাটার হিড়িক।

শাজাহানপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতের আধারে চলছে মাটি কাটার হিড়িক।

ফজলে রাব্বি ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের বড় চাঁন্দায় গ্রামে  আবাদী জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একদল ভূমিদস্যরা। এমনই চিত্র ধরা পটে চিফ টিভির ক্যামেরায়। তবে কী বন্ধ হবে এই অবৈধ মাটি ব্যবসা। প্রশ্ন উটেছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে ভূমী দস্যুদের মাটি কাটার কাজ। 

কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশ, যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছেন, সেখানে বিভিন্ন নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ভাংগিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসা। 

স্থানীয় এলাকাবাসি বলছেন খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের মাটি ব্যবসায়ী মোকছেদুর রহমান মোকছেদ ওরফে মাটি মোকছেদ প্রশাসনকে মেনেজ করেই রাতের আধারে আবাদি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। 

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এলাকার একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমরা প্রশাসনকে বার বার জানানোর পরেও এলাকায় মাটি কাটা বন্ধ করা যায়নি। আমরা এখ৷ নিরুপায় আমরা চাই খুব দ্রুত এই মাটি কাটা বন্ধ হোক।  এই মাটি কাটা বন্ধ না হলে ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাবে।  পাশা পাশি নষ্ট হয়ে যাবে মানুষের চলাচলের রাস্তা। 

এই মাটি কাটা বন্ধ না হলে জমিতে চাষ হবে না বলেন সাধারণ কৃষক।  তবে চিফ টিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে রাতের আধারের মাটি কাটার দৃশ্য, মাটি কাটা বন্ধ না হলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করবেন বলে জানিয়েছেন চিফ টিভি কে । তাই এলাকাবাসির দাবি, যেন তাদের চাষ করা আবাদি জমির মাটি কাটা অচীরেই বন্ধ হোক। 

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী মোকসেদ বলেন, ভাই মাটি তো কাটতেছি, মাটি কাটার জন্য কোন পারমিশন আছে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাটি কাটার কোন পারমিশন হয় না। সবাই যেভাবে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলে আমিও সেই রকম ম্যানেজ করে চলি। প্রশাসন বলেছেন দিনের বেলা মাটি কাটা যাবে না এই জন্য রাতের বেলা মাটি কাটি। 

প্রশাসন কে ম্যানেজ করে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে, শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, যারা এই অভিযোগ টি উঠিয়েছে অভিযোগ টি পুরো টাই মিথ্যা, মাটি কাটা বিষয়ে থানা পুলিশ কোন কিছু করতে পারে না। তবুও যদি কোন আমার থানার পুলিশ সদস্য এর সাথে জড়িত থাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবো। 

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যবহারীত সরকারি মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল টি রিসিভ করেন নাই।



কোন মন্তব্য নেই