শিরোনাম

কুমিল্লায় গরুর গোস্ত বিক্রি ৫৯০ টাকা দরে- Chief TV - চিফ টিভি


ছবিঃ প্রতিনিধি
সাবের আব্দুল্লাহ, জেলা কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

ফের এবার কুমিল্লায় ৫৯০ টাকা কেজিতে গরুর গোস্ত  বিক্রি শুরু করেছে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার এলাকায় এ গোস্ত বিক্রির কার্যক্রম চালায় সংগঠনটি। সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম আর সর্বোচ্চ ২ কেজি গরুর গোস্ত কিনতে পারছেন একজন ক্রেতা।

আয়োজকরা জানান, পবিত্র রমজান মাসে গোস্তসহ দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে নিন্মআয়ের মানুষের খুবই নাজেহাল অবস্থা। সেসব মানুষের কথা ভেবে ভর্তুকি দিয়ে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি করার উদ্যোগ নেয় প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন। ৫৯০ টাকা কেজি দরে গোস্ত বিক্রি করা হচ্ছে। তবে একজনের কাছে সর্বোচ্চ ২ কেজি করে গোস্ত বিক্রি করা হয়। এর বেশি কেউ নেওয়ার সুযোগ নেই। ভর্তুকি দিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের গোস্তের চাহিদা পূরণ করতে তাদের এই কার্যক্রম। 

তবে কমদামে গরুর গোস্ত  কিনতে এদিন সকাল থেকেই হুমড়ি খেয়ে ভিড় করেছে মানুষ। পার্শ্ববর্তী বরুড়া, চান্দিনা ও আদর্শ সদর উপজেলা থেকেও মানুষ ছুটে এসেছেন কমদামে গরুর গোস্ত  কিনতে।

ফারিয়া রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, ৫৯০ টাকা দামে গরুর মাংস বিক্রি হয় শুনে ছুটে এসেছি। আমাদের মতো নিন্মআয়ের মানুষদের গরুর গোস্ত  কেনা দুঃসাধ্য ব্যাপার। আয়োজকদের ধন্যবাদ আমাদের কাছে কমদামে গরুর গোস্ত  বিক্রি করার জন্য।

আলেক হোসেন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গোস্ত কিনতে সকাল থেকেই এখানে ভিড় লেগেছে। অনেক মানুষ সিরিয়াল না পেয়ে ফিরে গেছেন। দেখলাম গোস্তের গুণগত মান অনেক ভালো। তাজা গরুর গোস্ত  চোখের সামনে জবাই করে তা কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। হাড়, চর্বি, কলিজা থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে। একদম কোরবানির গোস্তের মতো।

প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহফুজ বাবু রাজধানী টাইমস কে বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে সবসময় সমাজের বিভিন্ন হতদরিদ্র, অসহায় ও নিন্মআয়ের মানুষকে সহায়তা করে থাকি। এবার রোজায় গরুর গোস্ত  আর তরমুজের দামে হৈচৈ পড়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত নিলাম কমদামে গরুর গোস্ত  বিক্রি করার। আজকে আমরা দুইটা গরু জবাই করে ৫০০ কেজির ওপর গরুর গোস্ত  বিক্রি করেছি। মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমাদের ১০ হাজার টাকার মতো ভর্তুকি যাবে। আমাদের ফাউন্ডেশনের সদস্যরা চাঁদা দিয়ে এই ভর্তুকি বহন করব। আমাদের শুধু গরুর গোস্তই নয়। তরমুজ ও খেজুরও কমদামে বিক্রি করছি ভর্তুকি দিয়ে। প্রতি সপ্তাহের দুইদিন শুক্রবার ও শনিবার গোস্ত বিক্রির কার্যক্রম চলবে। প্রথম দিনে মানুষের চাপ অনেক বেশি ছিল। আমরা এর পরিধি বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছি।

কোন মন্তব্য নেই