শিরোনাম

থামাতে পারছেনা দুর্নীতির মহোৎসব! ১ বছরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোটি টাকার হদিস নেই - Chief TV - চিফ টিভি

থামাতে পারছেনা দুর্নীতির মহোৎসব! ১ বছরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোটি টাকার হদিস নেই
ছবিঃ প্রতিনিধি
আজগার আলী, বিশেষ প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ

সাতক্ষীরা এবং জাতীয় পত্র পত্রিকায় যা লেখা হোক না কেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। কেউ থামাতে পারছে না দুর্নীতির এই মহোৎসব। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের তদন্তে কিছু শিক্ষক কারাবরণ করার পরও বহাল তবিয়তে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৩৫৬জন এবং ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩৭৩ জনসহ মোট ৭২৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাথাপিছু ২৫০০ টাকা হিসেবে মোট ১৮ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে।

একই সময়ে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রী স্তরে ৯৩ জন এবং ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৬১ জন মোট ১৫৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তাদের নিকট থেকে মাথাপিছু ২৫০০ টাকা হিসেবে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

উক্ত শিক্ষাবর্ষে অনার্স স্তরে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ৩২৯ জন এবং ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩৭৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। উক্ত ৭০২ জন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা হিসেবে ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

এমএ ও এমবিএ ভর্তি বাবদ ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যাংক ও ক্যাশে জমা ছিল। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১৪৫ জন ভর্তি হয়েছে। যাদের প্রত্যেকের ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা হিসেবে মোট ৭ লাখ ২৫ তার হাজার টাকা আদায় হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি এখনও চলমান আছে। এক বছরে ভর্তি বাবদ ৭২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।

এদিকে ২০২০ সালে এমএ ও এমবিএ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৫৫ জন এবং ২০২১ সালে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৪০৭ জন। অনার্স প্রথম বর্ষ ২০২১ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৪২ জন। অনার্স ১ম বর্ষ ২০২২ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৫২ জন। অনার্স ২য় বর্ষ ২০২২ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭২৫ জন। অনার্স ৩য় বর্ষ ২০২১ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩৮৫ জন। অনার্স ৩য় বর্ষ ২০২২ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ( চলমান এবং অর্থ বছরের বাহিরে )। অনার্স ৪র্থ বর্ষ ২০২১ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৩২ জন। অনার্স ৪র্থ বর্ষ ২০২২ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ( চলমান এবং অর্থবছরের বাইরে )। মোট ৩ হাজার ৩০৯ জনের নিকট থেকে অতিরিক্ত আদায়ের ৮ লাখ ২৭ হাজার ২৫০ টাকা।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ফরম পূরণ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষা ২০২৩ পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩১৪ জনের নিকট থেকে বেতন ও বিবিধ বাবদ ৪০০ টাকা হিসেবে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা। অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষা সংক্রান্ত পরীক্ষার ফিস জনপ্রতি ৩০০ টাকা হারে ৩ হাজার ৩০৯ জনের নিকট থেকে আদায়কৃত ৯ লাখ ৯২ হাজার ৭০০ টাকার কোন হিসাব নেই। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোচিং বাবদ ৫০০ টাকা হিসেবে ৩১৪ জনের নিকট থেকে আদায় করেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

ভর্তি ফি, ফরমপূরণ ও অন্যান্য ফি বাবদ এক বছরে অধ্যক্ষ ড. শিহাবুদ্দীনের পকেটস্থ মোট আয় ৯৩,৯১,৫৫০ টাকা। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি পকেট কমিটি তৈরির জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন যেটি সুপ্রীম কোর্টের চেম্বারজর্জ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখানে উল্লেখ্য এই কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫০ জন নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারী কয়েক বছর ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও অধ্যক্ষের পকেটস্থ আয়ের কমতি নেই। তাই জেলার সুশীল সমাজের নেতৃত্ববৃন্দ ও সিটি কলেজ ও কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা এই রাহু গ্রাস থেকে প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত রাখার জন্য জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই