শিরোনাম

বগুড়ায় স্কুল ছাত্র হত্যা ঘটনায় গ্রেপ্তার- ২ - Chief TV - চিফ টিভি

বগুড়ায় স্কুল ছাত্র হত্যা ঘটনায় গ্রেপ্তার- ২ - Chief TV - চিফ টিভি

ছবিঃ প্রতিনিধি

শুভজিৎ সরকার, চিফ টিভিঃ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নাছিম মিয়া (১৪) নামে একজন নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ।এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,গাবতলী থানাধীন ঈশ্বরপুর পূর্ব পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক (২০) এবং অপরজন হলেন,সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি পশ্চিম পাড়ার জলিল মন্ডলের ছেলে ফিরোজ ইসলাম (১৯)

নিহত নাছিম সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মিয়ার ছেলে এবং সে ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। 

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুর রশিদ জানান, অভিযুক্ত এনামুল নিহত নাসিমের সম্পর্কে মামাতো ভাই ছিলেন এবং ফিরোজ সম্পর্কের চাচা হন। 

তুচ্ছ ঘটনা সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে পূর্বে একটি দ্বন্দ্ব হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে নাসিমকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠান্ডা মাথায় এনামুল এবং ফিরোজ শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল এবং ফিরোজ এসব জানায় এবং  হত্যার দায় স্বীকার করেন। 

উল্লেখ্যঃ গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার শবে বরাতের দিন এশার নামাজের পর নাছিম মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। তারপর কোথাও খুঁজে না পেয়ে এ বিষয়ে নাছিমের বাবা ওয়াজেল গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার সারিয়াকান্দি থানায় একটি হারানো ডায়েরি দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত রবিবার সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ বিকাশের দোকান থেকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে অভিযুক্ত  এনামুল এবং ফিরোজকে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নাছিমকে হত্যা করা হয়েছে। আটক অপহরনকারীর তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাত ১০ টার দিকে এনামূলের (১৯) বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে গোয়াল ঘরের মাটি খুঁড়ে হাত পা বাঁধা বস্তাবন্দি অর্ধগলিত নাছিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যার এবং লাশ পুঁতে রাখার কাজে ব্যবহৃত একটি রশি, একটি সেলাই করার সিমেন্টের বস্তা ,একটি মোবাইল ফোন এবং ঘটনা স্থল থেকে একটি লোহার কোদাল উদ্ধার করা হয়। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান,অভিযুক্ত ফিরোজ এবং এনামুল অপহরনের পর একটি মোবাইল ফোনে নাছিমের বাবার নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে নাছিমের বাবা ২০ হাজার টাকা বিকাশে মুক্তিপণ পাঠিয়ে দেয়। মুক্তিপণেন ঐ ২০ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে অভিযুক্ত  ফিরোজ এবং এনামুল।

তিনি আরো বলেন,নৃশংস এই হত্যার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই