শিরোনাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পেয়েছে উলিপুর ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হুমায়রা - Chief TV - চিফ টিভি

ছবিঃ প্রতিনিধি
জাহিদ হাসান, শেরপুর (বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জাতীয় মেধাক্রমে সারা দেশে ৯৪৯ তম স্থান অধিকার করেছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার প্রতিথযশা মহিলা বিদ্যাপীঠ উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা হুমায়রা (১৮)। উল্লেখ্য, গত (১৩ মার্চ) বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ‘এ’ ইউনিটের ফলাফলের এ-১ গ্রুপে জাতীয় মেধাক্রমে সারা দেশে ৩৫তম স্থান অধিকার করে হুমায়রা।

পারিবারিকসূত্র জানায়, হুমায়রা তার বাবার কর্মস্থল বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার খাদাশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় এবতেদায়ি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। পরে, ওই মাদ্রাসা থেকেই পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে বারআঞ্জুল দাখিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০২১ সালে এই মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়ে এসএসসি সমমান দাখিল পাস করেন। ২০২৩ সালে উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাযিল মাদ্রাসা থেকে এইচএসসি সমমান আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পান। তার এমন সাফল্যে পরিবার, এলাকাবাসী ও স্বজনদের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।

হুমায়রা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পানাতাপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত পূর্ব জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের হাফেজ মো. শামসুল হক ও ফাতেমা খাতুন দম্পত্তির বড় মেয়ে। তার বাবা পেশায় একজন শিক্ষক ও মা গৃহিণী।

ঢাবিতে জাতীয় মেধাতালিকায় ৯৪৯ তম স্থান অধিকারী হুমায়রা একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া। এ এক স্বপ্নের মতো অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমি যে ফলাফল অর্জন করেছি, মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। রাবির পর ঢাবিতেও চান্স পেয়েছি এটি সত্যিই অনেক আনন্দের। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর এমন ফলাফলে প্রথমেই মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। তার এই ফলাফলে আমি, আমার শিক্ষক-কর্মচারী স্টাফ আনন্দিত। দেশবাসীর কাছে চাওয়া প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে যাতে কেউ না কেউ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় সেই দোয়া করবেন। আর আমার শিক্ষকবৃন্দও এমন এই প্রতিজ্ঞায় বদ্ধপরিকর।’

কোন মন্তব্য নেই