শিরোনাম

রংপুর মহাসড়ক নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে - Chief TV - চিফ টিভি


রংপুর মহাসড়ক নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে - Chief TV - চিফ টিভি
ছবিঃ প্রতিনিধি
তানভীর আহমেদ, রংপুর (পীরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পে প্যাকেজ-৮ এর আওতায় ২৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার অংশের রংপুর মর্ডান মোড় থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত  ১৯০.৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। রংপুরের পীরগঞ্জ বড়দরগা থেকে মিঠাপুকুর হয়ে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড় পর্যন্ত এই মহাসড়কে ১৭ টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কাজ বাকি রয়েছে এবং দিন যতই যাচ্ছে, ততই এসবের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

এদিকে, জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটার অংশের কাজ এখনো বন্ধ রয়েছে। কাজের শুরু থেকেই শঠিবাড়ী এলাকায় তেমন কোনো পরিবর্তন হয়ে উঠেনি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিগগিরই এ জটিলতা কাটিয়ে ওই এলাকায় মহাসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মর্ডান মোড় পর্যন্ত ১৯০.৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুনেই রংপুর অংশে শুরু হওয়ার কথা ছিল বহুল প্রত্যাশিত রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের নির্মাণকাজ। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। সরকার আদেশ দিলেও ছয় মাস দেরিতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় নির্মাণকাজ। কিন্তু করোনা, বন্যা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাজের ধীর গতিতে চলতে থাকে। এখন দেশের প্রথম ডিজিটাল এ মহাসড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে দিনরাত। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ মহাসড়ক খুলে দেওয়া হলে প্রায় ৫ ঘণ্টায় রংপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ইতোমধ্যে ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়াতে মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশ এখন দৃশ্যমান। এদিকে বহুল প্রত্যাশিত রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে নতুন চমকÑ বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়া তোরণ। অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন এ তোরণটি পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুরে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে রংপুর জেলায় প্রবেশ করতেই নজর কাড়বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার প্রতিকৃতি।

ইতোমধ্যে এ মহাসড়কের ওপর সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের পাশাপাশি ফ্লাইওভার, ওভারপাস নির্মাণ দৃশ্যমান হয়েছে। এই সড়কের মধ্যে চার লেনে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করছে। বাকি দুই লেনে চলাচল করছে স্বল্পগতির হালকা যানবাহন। তবে এখন আর থেমে নেই কাক্সিক্ষত এই মহাসড়কের নির্মাণকাজ। দিন যতই যাচ্ছে, ততই নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে (অর্থাৎ ২০২৪ এর শেষ মাস) এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই