বগুড়ার সেই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুরুজ্জামানকে বরখাস্ত - Chief TV - চিফ টিভি
শুভজিৎ সরকার ঃ
বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা শাখা। গত ০৭ তারিখে বগুড়া জেলা শাখার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান মামুন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন,শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অপরাধ কাজ জড়িত একজনকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জন্য পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটায়। যা দলে ভাবমূর্তি নষ্ট এবং দলে উপর অনীতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে। এই কারণে তাকে সামরিকভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তটি সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীন ও সাধারন সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্তসহ দলীয় সকল নেতার সম্মতি অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় পুলিশ মদ্যপান অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকুসহ মাঝিড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে থানায় প্রবেশ করে এবং গ্রেফতারকৃত মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের মধ্যে এসআই আনিছুর রহমান, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় জেলা পুলিশ, র্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, সাইদুর রহমান খোকন, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মিতুল এবং ওয়াবুজ্জামান রাতুলকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অভিযান পরিচালনা করে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করেন পুলিশ।
জানান যায়, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই