তপন চেয়ারম্যান ও অজিত মেম্বার কে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণা করলেন জেলা প্রশাসক - Chief TV - চিফ টিভি
এনামুল চৌধুরী ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
গত ১৮ই এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় ডোমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই নির্মাণ শ্রমিক আপন দুই সহোদর ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে উগ্রবাদী হিন্দুরা এর সাথে যথেষ্ট প্রমাণ সহ সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে ডোমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন ও স্থানীয় মেম্বার অজিত বিশ্বাসের
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার এ ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি জানান, এ ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটির অনুরোধের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সময় আরো সাতদিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন একজন হেভিচ্যুয়াল অফেন্ডার স্বভাবগত অপরাধী। কোথায় কখন কিভাবে লুকিয়ে থাকতে হয় সেটি তিনি ভালো জানেন। তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন রেখে গেছেন। এর আগে আমরা মাগুরায় তার অবস্থান শনাক্ত করি। কিন্তু যখন তাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হয় তখন যশোরে পালিয়ে যায়। এরপর যশোরেও তাকে ধরতে অভিযান চালানো হলেও পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপনকে এর আগে দুইবার বরখাস্ত করা হয়েছিলো। একবার ইউএনওর ওপরে হামলার ঘটনায় এবং আরেকবার টিসিবির কার্ড দুর্নীতির কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়। দুইবারই উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি পদ ফিরে পান। এ কারণে তার মধ্যে এক ধরনের বেপরোয়া মনোভাব তৈরি হয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন, যতো অপরাধই করুক না কেনো তিনি পার পেয়ে যাবেন।
ঘটনার পর ধর্মমন্ত্রীর সফরের সময়েও চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন মন্ত্রীর প্রোগ্রামে দেখা গেছে এ প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, তার দ্বৈত ভূমিকার কারণে তাকে সেভাবে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি। তবে যখন ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন দ্রুত আত্মসমর্পণ করেন। তারা তাদের আইনগত সুবিধা নেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতারে সকলের সহযোগিতা চাই। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাই। কেউ যদি অন্যান্য আসামিদের অবস্থানও জানাতে পারেন তাহলে তাদের উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে
কোন মন্তব্য নেই