শিরোনাম

হাইমচরের মেঘনা নদীতে কর্ণফুলী ৩ লঞ্চে আগুন / আহত ১০ - Chief TV - চিফ টিভি

হাইমচরের মেঘনা নদীতে কর্ণফুলী ৩ লঞ্চে আগুন / আহত ১০ - Chief TV - চিফ টিভি

সিয়াম হোসেন পাটওয়ারী চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা মাঝ নদীতে কর্ণফুলী ৩ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৮ -৩০ মিনিটে বরিশাল হিলিশা থেকে ছেড়ে আশা কর্ণফুলী ৩ লঞ্চটি প্রায় ৫শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া লঞ্চটি প্রতিমধ্যে  সকাল ১০ ঘটিকার সময় হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মেঘনা মাঝ নদীতে লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।

এতে আতংকিত হয়ে ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বর্তমানে ৭ জন পা ও হাত ভাঙ্গা অবস্থায় হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছেন। 

লঞ্চের অন্য যাত্রীদের কে কর্ণফুলী ৪,কর্ণফুলী ৭,কর্ণফুলী ১১ লঞ্চে করে গন্তব্যস্থল ঢাকায় পাঠানো হয়। লঞ্চটি বর্তমানে নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।

লঞ্চ যাত্রী সিয়াম, সাফায়েত হোসেন, রিয়াজুল জানান, আমরা হিলশা এলাকা থেকে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় কর্নপুলি - ৩ লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করি। সকাল ১০ টার সময় মাঝ নদীতে ইঞ্জিনে আগুন লাগে।

 যাত্রীরা সব আতংকীত হয়ে ছুটাছুটি করতে শুরু করে। 

লঞ্চের মাস্টার লঞ্চটিকে নদীর কিনারে নিয়ে যায়। মানুষজন তারাহুরা করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয় এবং ২জন স্টোক করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের বিভিন্ন ট্রলারে করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় প্রায় পাঁচশতাধীক যাত্রী বড় ধরনের দূর্ঘটনা  থেকে রক্ষা পায়।

লঞ্চের মাস্টার শাহজালাল জানান, বরিশাল হিলশা থেকে সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসি। সকাল ১০ টার দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনে আগুন লেগে গিয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। 

যাত্রীদেরকে শান্তনা দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তারা ছুটাছুটি করতে গিয়ে কিছু লোক আহত হয়। আমি লঞ্চটি নিকটতম চরের দিকে নিয়ে যাই। বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। লঞ্চটিতে ৫ শতাধিক যাত্রী ছিল।

নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, মাঝ নদীতে লঞ্চে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসি। 

এখানে এসে যাত্রীদেরকে উদ্ধার করে অন্য লঞ্চ কর্নফুলী -৪,কর্নফুলী -৭ ও কর্নপুলি ১১ লঞ্চে করে তাদের গন্তব্যস্থান ঢাকায় প্রেরণ করি। আহতদের হাইমচর স্বাস্থ কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। 

চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশন লিডার মোঃ কবির হোসেন জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আমরা আসার পুর্বেই লঞ্চ স্টাফ ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। আমরা জানতে পেরেছি লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

অল্প সময়ের মধ্যে লঞ্চটি পাড়ে নিয়ে আসার কারনে বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছে। তবে প্রায় ২০ হাজার টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই