বেড়িয়ে এলো থলের বিড়াল নাটক হয়েছে আটক করে - Chief TV - চিফ টিভি
এনামুল চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা এর মূল হোতা ছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বার গত তিনদিন আগে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের সন্দেহে দুই নির্মাণ শ্রমিক আপন দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ।
জানা যায়, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় অবস্থিত পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ চলছিল ।পাশেই ছিল একটি কালী মন্দির। সেই কালীমন্দিরে সন্ধা সাতটার দিকে আগুন লাগে। সে আগুনকে কেন্দ্র করেই পঞ্চপল্লী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঐদিন সাড়ে ছয়টা নাগাদ মন্দিরে প্রদীপ জ্বলন করেন তাপতী মন্ডল নামে এক মহিলা। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি সাড়ে ছয়টা নাগাদ মন্দিরে অগ্নিপ্রজ্জোলন করে দিয়ে আসি। আমি কাউকে আগুন দিতে দেখি নাই। তারা পাশেই বসেছিল। তাদের কাজ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা চলতেছিল, এর বেশি আমি কিছু জানি না।
আমাদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা এন্ড ইউনাইটেড কনজ্যুমার প্রোটেকশন লিগ্যাল রাইটস ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট ও “UNESCO”র শুভেচ্ছা রাষ্ট্রদূত ড .মোঃ শাহীন ঢাকা শাখার নির্দেশে সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন আইএইচ আরজি ইউসিপিএল আরএফ ফরিদপুর জেলা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাম্বাঃ ড .মোঃ আলী আকবর হোসেন, বোয়ালমারী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনামুল চৌধুরী সর এরশাদ খাঁন, রাজিব হোসেন,শরিফুল ইসলাম,মিরাজুল হোসেনপ্রমুখগণ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন এর সাথে ও বেঁচে ফেরা এক শ্রমিক এবং এখানে উপস্থিত হওয়া নছিমন চালক এবং সাব কন্টাকটারের সাথে কথা বলে জানতে পারি তারা বলেন আমরা এখানে সাতটার দিকে নছিমনে করে রড নিয়ে আসি। এসে দেখি কে বা কারা মন্দিরে আগুন লাগিয়েছিল সেটাকে পানি ঢেলে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর আমরা নছিমন থেকে রড আনলোড করে যখন নসিমন স্টার্ট করে আবার ফিরে যাচ্ছিলাম তখন তারা আমাদেরকে আটক করে এরপর আমাদেরকে নসিমনের দড়ি দিয়ে একটি ক্লাসরুমের ভিতরে নিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর তারা বলে এতদিন এখানে আগুন লাগলো না। মুসলিমরা আসামাত্রই কেমনে আগুন লাগলো। স্থানীয় মেম্বার বলেন এদেরকে ধরে বাধঁ। তাদের ভাষ্যমতে তাদের বেঁধে রাখার পর আসে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তিনি এসে তাদের সাথে কথা বলে নির্মাণ শ্রমিক বলেন। আমরা এখানে আগুন দেইনি। হটাত চেয়ারম্যান তার কোমর থেকে একটি স্টিলের পাইপ বের করে। তাদের উপর আঘাত করে এখান থেকেই শুরু হয় হামলা। পরে স্থানীয় জনগণ ও বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের উপর বিভিন্নভাবে হামলা চালায়। তাদেরকে হাত পিছে দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ।
এরপর আমার নছিমটা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ।
এর সময় নির্মাণ শ্রমিক গোসল করতে ছিল। গোসল শেষে ছাদে গিয়ে পালাবার চেষ্টা করেন সে। হয় ছাদ থেকে তাকে কিছু লোক ধরে বলে তুই গিয়ে বলবি এরা আগুন লাগিয়েছে। সে বলে আমি কথা কিছুতেই মিথ্যে বলতে পারব না সেই শ্রমিক ঝানায় ! এরপর আমি ওখানে না থেকে নিচে নেমে আসি এবং আমি সিঁড়ির নিচে পালিয়ে আত্মরক্ষা করি।
কোন মন্তব্য নেই