বগুড়ায় এ্যাম্বুলেন্স চালকদের ধর্মঘট, রোগী ও লাশ পরিবহন সেবা বন্ধ- Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
ছবি-প্রতিনিধি |
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের এ্যাম্বুলেন্স চালকদের ধর্মঘট। ২৭ মে সোমবার দিবাগত রাত থেকে সকল এ্যাম্বুলেন্সে রোগী ও লাশ পরিবহন সেবা বন্ধ করেছেন এ্যাম্বুলেন্স চালক সংগঠন।
চালকরা বলছেন তাদের সহকর্মীকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জুলফিককার আলম আনসার সদস্য দ্বারা আটক করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠায়। পড়ে তারা গভীর রাতে টাকার বিনিময়ে সেই সহকর্মীদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছেড়ে নিয়ে আসেন।
রোগীর আত্মীয় স্বজনরা বলছেন, এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকলে তারা তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সঠিক সময়ে সেবা নিতে পারছেন না। এতে করে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। পরিবেশ ফিরে আনতে যা করণীয় তা দ্রুত সমাধান করে চালকদের আহ্বান জানান, দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর পরিবার।
এদিকে ফাঁড়ির ইনচার্জ মিলাদুন্নবী বলেন, মেডিকেলের ভিতরে এ্যাম্বুলেন্স রাখা নিষেধ, এই কারণে হাতপাতালের দায়িত্বে থাকা পরিচালক জুলফিককার আলম মেডিকেলে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের দিয়ে ধরিয়ে আমাদের ফাঁড়িতে পাঠিয়ে দেয় ,পড়ে আমরা সেই গাড়ি গুলোতে মামলা দিয়ে দেই। টাকার বিনিময়ে গভীর রাতে আটককৃত ২ জনকে ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা টাকা নিয়ে ছেড়ে দিতেই পারি না। কারণ জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন এইটা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আটক করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, আমরা মামলা দিয়েছি। এখানে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি, আমরা ছেড়ে দেবার কেহ না আর আমরা ছেড়ে দিতেও পারি না। টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাকিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ড্রাইভারদের মাঝে মাঝেই পরিচালক মারধর করেন, এর থেকে পতিকার পেতেই আমরা এই ধর্মঘট করছি। আমাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি পার্কিং জায়গা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেবে, যেখানে তারা অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে রাখতে পারবে এবং খুব সহজেই রোগীদের সেবা দিতে পারবে। আর যেন কোন এ্যাম্বুলেন্স মালিক বা চালকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন না করা হয় এমনটাই দাবি তাদের।
কোন মন্তব্য নেই