শিরোনাম

খেলার মাঠ কাদের দখলে? - Chief TV News

 


বিশেষ প্রতিবেদন, চিফ টিভিঃ

খেলার মাঠে পাথর (খোয়া) ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছে স্থানীয় কিশোর ও তরুনেরা। বগুড়ার ধুনটে পাঁচথুপী বাজার সংলগ্ন খেলার মাঠে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

মাঠটি স্থানীয় পাঁচথুপী নছরতপুর জাহের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পদ হলেও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, কারিগরি স্কুল-কলেজ সহ এলাকার ৪-৫ গ্রামের শিশু কিশোরেদের জন্য একমাত্র খেলার মাঠ এটি। যে কারনে সকাল বা বিকেলে খেলাধুলার জন্য তাদের কাছে একমাত্র অবলম্বন এই মাঠ।

অতীতে এই মাঠকে ঘিরে আয়োজন হত বিশাল আয়োজনের ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট। ধিরে ধিরে মাঠের অব্যবস্থাপনায় জৌলুশ হারায় ঐতিহ্যবাহী এই মাঠটি।

সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কিছু কিশোর মিলে মাঠ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও মাঠের পাশে গাছ লাগানো সহ মাঠকে খেলার উপযোগী করে তুলেছে। ইতোমধ্যে চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন টি-টেন ব্লাস্ট ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট সহ বেশ কিছু খেলার আয়োজনও করেছে তারা। শীঘ্রই একটি ফুটবল টুর্নামেন্টেরও আয়োজনও পরিকল্পনা ছিলো তাদের। 

ঠিক এমনই সময় মাঠের একপাশে পাথরের টুকরো স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ মাঠে এসব রাস্তা সংস্কারের উপকরণ রাখার জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। তবে কে বা কারা এমন কাজে উৎসাহ যোগাচ্ছে এটা নিয়ে সন্দিহান তারা। এর আগেও এই ধরনের কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেছে এই মাঠে। খেলতে গিয়ে বেশ ক'বার পাথর বা ইটের টুকরার আঘাতে ইনজুরি পোহাতে হয়েছে অনেককে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক অভিভাবক জানান, 'এই মাঠ নিয়ে অনেক কিছুই হয়। আগের থেমে থাকা খেলার টাকা তুলেও সেই খেলা এখনও শেষ করেনি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল, যার সাথে জড়িত স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজেও। এছাড়া সপ্তাহে ২ দিন হাট ও শীতকালীন সময়ে পাইকারী কাঁচাবাজার বসলেও সেখান থেকে উপার্জিত টাকার কোনো অংশই ব্যবহার করা হয়না মাঠ সংস্কারে। এমনকি স্থানীয় শিশু কিশোর রা নিজ উদ্যোগে মাঠে খেলতে গেলেও তাদের সমস্যা! অথচ, যে পাথরগুলো মাঠে রাখা হয়েছে, সেই পাথরগুলো মাঠেই পাশেই বহুদিনের পড়ে থাকা জমিতে রাখা যেত। তারা আসলে মাঠকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে।' 

সম্প্রতি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীর দাবি অনতিবিলম্বে মাঠ থেকে পাথরের খোয়া সব সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে মাঠকে খেলার উপযোগী করে দেয়া হোক। তারুন্যের অবক্ষয়ের এই সময়ে ছেলেমেয়েরা যেন মন খুলে মাঠে খেলাধুলা করতে এমনটাই দাবি সবার।

কোন মন্তব্য নেই