শিশু রাফি হত্যার বর্ণনা দিলেন খুনি বাবা - Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
| ছবি-প্রতিনিধি |
সাংসারিক অশান্তির কারণেই বগুড়ার শাহজাহানপুরে আবাসিক হোটেলে স্ত্রী ও ১১ মাস বয়সী ছেলেকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আজিজুল হক (২৩)। সোমবার (৩ জুন) বিকেলে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
জবানবন্দিতে আজিজুল হক জানান, তার মা-বাবার সঙ্গে স্ত্রী আশামণির মতের মিল হতো না। ঝগড়া লেগেই থাকতো। সাংসারিক অশান্তির কারণেই তিনি স্ত্রীকে হত্যা পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বগুড়া শহর থেকে ছুরি কিনে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শাহজাহানপুরের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন। পরে পারিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে গলাকেটে স্ত্রী আশামণিকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ বস্তায় ভরেন। স্ত্রীকে হত্যার সময় ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান আবদুল্লাহ আল রাফি বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল।
স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি হোটেলের নিচে নামেন। কিছুক্ষণ পরে আবার হোটেল কক্ষে ফিরে যান। এ সময় ঘুমন্ত শিশু সন্তানের কাছে কিছুক্ষণ বসে পড়েন।
মাকে হত্যা করায় শিশুটি কার কাছে থাকবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে শিশু সন্তানকেও গলাকেটে হত্যা করেন। এরপর একটি সাদা ব্যাগে শিশু সন্তানের মাথা ভরে হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে ফতেহ আলী রেলওয়ে ব্রিজ থেকে করতোয়া নদীতে ফেলে দেন।
উল্লেখ্য, রবিবার (২ জুন) আবাসিক হোটেল থেকে তার স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আশামণির বাবা আসাদুল ইসলাম আজিজুল হক ও তার বাবা হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে রোববার দিবাগত রাতে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। পরে আজিজুলকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুল দোষ স্বীকার করায় আর রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে না। হামিদুলকেও গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী থেকে আসা ছয় সদস্যের ডুবুরি দল রবিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত করতোয়া নদীতে চেষ্টা করেও শিশু রাফির খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করতে পারেনি।

কোন মন্তব্য নেই