ঠাকুরগাঁওয়ে গুপ্তধনের গুজব, যা বললেন ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরের সদস্যরা - Chief TV - চিফ টিভি
 |
| ছবি-প্রতিনিধি |
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইটভাটার মাটির স্তূপে স্বর্ণ পাওয়ার প্রচারিত সংবাদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদি হাসান শুভর হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরের দুই সদস্যের একটি টিম সরজমিন অনুসন্ধান করেছেন।
জানা যায়, ইটভাটায় স্তুপকৃত মাটিতে সোনা পাওয়া যাচ্ছে এমন গুজবে শত শত মানুষ কোদাল, খুন্তি, বসিলা নিয়ে রাত-দিন মাটি খুঁড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে ওই ইটভাটায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৬ মে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইটভাটার সব মাটি ট্রলি দিয়ে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গত ৩ মে রাণীশংকৈল উপজেলার সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ ও অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তূপ, শ্যামরাই মন্দিরের পাশের জমি ও পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন।
সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আমরা ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি এবং তিন স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আসলে এটা ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে স্বর্ণ থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যেকোনো স্থানে এসব থাকতে পারে। বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উভয় সম্পদ অনুসন্ধানে তৎপর আছে। আমরা যে মাটির নমুনা নিয়েছি ল্যাব টেস্ট করলে ওখানে স্বর্ণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কোন মন্তব্য নেই