শিরোনাম

সম্ভাবনা নেই শরিফুলের শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই ফিরছেন তাসকিন- Chief TV - চিফ টিভি

সম্ভাবনা নেই শরিফুলের শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই ফিরছেন তাসকিন
ছবি-প্রতিনিধি
ডেস্ক রিপোর্টারঃ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের পরও বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়েছিল তাসকিন আহমেদকে। আশা ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন এই পেসার। ডালাসে বাংলাদেশ দলের ফিজিও বায়োজিদুল ইসলামের কথা থেকেই পরিষ্কার, লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরছেন তাসকিন। তবে তাসকিন ফিরলেও শঙ্কা আছে শরিফুলকে নিয়ে।

সোমবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে পূর্ণ রানআপে বোলিং করার কথা ছিল তাসকিনের। যদিও বৃষ্টি বাধায় সেটা হয়ে ওঠেনি। অগত্যা বাংলাদেশ দলকে যেতে হয় স্টেডিয়াম থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরের মাসট্যাং ক্রিকেট একাডেমির ইনডোরে। ইনডোরে তাসকিন কিছু সময় বোলিং করেছেন। এই পেসারের ফেরা নিয়ে ফিজিও বায়োজিদুল ইসলাম বলেন,তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। সম্ভাবনা খুব ভালো (শ্রীলঙ্কা ম্যাচে খেলার)। এ কারণেই সে বিশ্বকাপ দলে আছে।

এ ধরনের চোট থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। এ ধরনের চোটের পর শতভাগ ফিট বলা যায় না, তবে অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে সে। আশা করি ৭ই জুনের (বাংলাদেশ সময় ৮ই জুন সকালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ) মধ্যেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবে।একদিকে তাসকিনের ফিট হয়ে ওঠার আনন্দ আরেকদিকে বাংলাদেশ দলের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছেন শরিফুল ইসলাম। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে চোটে পড়েন শরিফুল। বাঁ হাতে ছয়টি সেলাই লাগে এই পেসারের। এ ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে ৭-১০ দিন সময় লাগে। ইনজুরি পরেই বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় শরিফুলের চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে বলেছিলেন, বাঁ-হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যে জায়গা, সেখানে একটা স্পলিট ইনজুরি হয়েছে শরীফুলের। মাঠে প্রাথমিক পরিচর্যার পর তাকে ম্যাচ শেষে নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মাঠে ফেরার সময়টা এখনো নিশ্চিত নয় বলেও জানিয়েছিলেন বিসিবি’র এই চিকিৎসক। ক্ষতস্থানে হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধানে ছয়টা সেলাই করা হয়েছে বলে জানান হয় সেসময়। এরপর গতকাল নতুন করে শরিফুল সম্পর্কে দুঃসংবাদ দিলেন বিসিবি’র আরেক ফিজিও বায়োজিদুল ইসলাম। শরিফুলের সবশেষ অবস্থা নিয়ে এই ফিজিও বলেন, ‘এ ধরনের সেলাইয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিরাময় হয়ে যায়। বাকিটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। আরও তিন-চার দিন পর ওর ব্যাপারটা বোঝা যাবে। কারও কারও খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। তবে প্রথম ম্যাচে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অর্থাৎ, প্রথম ম্যাচে শরিফুলের থাকা না থাকা এখন পর্যন্ত আটকে আছে ধোঁয়াশায়। পুরো ব্যাপারটিই নির্ভর করছে শরিফুলের সেরে ওঠার ওপর। কোনো কারণে এই পেসার ছিটকে গেলে ১৫ জনের স্কোয়াডে যুক্ত হবেন রিজার্ভে থাকা পেসার হাসান মাহমুদ।

 

কোন মন্তব্য নেই