শিরোনাম

বগুড়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফরম ফিলাপে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ - Chief TV - চিফ টিভি

বগুড়ায় অধক্ষ্যর বিরুদ্ধে ফরম ফিলাপে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ
ছবি-প্রতিনিধি
শুভজিৎ সরকার,স্টাফ রিপোর্টারঃ 

শিক্ষক মানে সমাজের চোখে আদর্শ এক মানুষ, যার ব্যক্তিত্ব সবার কাছে পর্বতের শৃঙ্খলার চেয়েও উচ্চ বলে মানা হয়। শিক্ষকদেরকে সঠিক মানুষ তৈরীর কারিগর বলা হয়ে থাকে। আগামীর ভবিষ্যৎ শিক্ষকের হাতেই তৈরি হয়। নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়, স্নেহ আদরে জীবনের সমস্ত কিছু শিক্ষার্থীদের জন্য উজার করে দেন শিক্ষকরা। শিক্ষার আলোতে আলোকিত করেন পুরো দেশ, সমাজ ও জাতি। আর এই জন্যই সমাজের চোখে শিক্ষকরা হলেন পৃথিবীর মহৎ ব্যক্তি। কিন্তু যদি এমনটা হয় সেই শিক্ষাকে ব্যবসা বানিয়ে হাতে নেন লাখ লাখ টাকা। অন্ধকারে ডুবে দিচ্ছেন হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। সম্প্রতি এমনি এক অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মমিনুর রশিদ প্রণামানিকের বিরুদ্ধে। 

জানা যায়,দ্বাদশ শ্রেণির ফরম ফিলাপের জন্য বারবার কলেজে গিয়েও করতে পারছিলেন না ফরম ফিলাপ। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও হচ্ছিলো না পরিক্ষা দেওয়া। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, দ্বাদশ শ্রেনিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই প্রিন্সিপালের কথা মতো নানা সময় টাকা দিয়ে আসছিলেন। এক সময় সে শিক্ষার্থীর পারিবারিক সমস্যা হলে  প্রিন্সিপাল তাকে বলেন কলেজে উপস্থিত না থেকেও কোন পরীক্ষা অংশগ্রহণ না করেও সরাসরি বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।  আর এই জন্য দিতে হবে বাড়তি টাকা। এই শর্তে দুই বছর যাবত সেই শিক্ষার্থী কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও দিতে থাকেন পরীক্ষার ফিস ও কলেজের যাবতীয় খরচ। অতএব ২৪ সালের হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে গেলে সে শিক্ষার্থী পরেন বিভ্রান্তিতে। 

একাধিকবার সেই প্রিন্সিপালকে ফোন দেওয়ার পরেও তাকে পাওয়া যায়না,একটা সময় তার সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান মে মাসের ২৫ তারিখে ফরম ফিলাপের লাস্ট ডেট। তাই খুব শীঘ্রই ফরম ফিলাপের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৫ তারিখে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপ করার জন্য কলেজে গেলে শিক্ষক অন্য বাহানা দেখিয়ে তাদের কে বিকাশে টাকা দিতে বলেন। তার কথা মতো টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার পরেই পাল্টে যায় প্রিন্সিপালের চিত্র। 

এক সময় তিনি জানান এখন আর ফরম ফিলাপ হবে না। লাখ টাকা দিলেও কোনো ভাবেই সে আর পরিক্ষা দিতে পারবেন না। প্রশ্ন এখন কেনো সে ফরম ফিলাপ করতে পারবে না। তখন অধ্যক্ষ জানান ফিলাপের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি আরো জানান তার মতই ৫০ জনের ফরম ফিলাপ হয়নি। ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর প্রশ্নের মুখে সেই প্রিন্সিপাল বলেন বিশেষ ক্ষমতায় তার ফিলাপ করে দেবেন তিনি।  কিন্তু দিতে হবে অতিরিক্ত টাকা। এতেও রাজি হন সেই ছাত্রী অবশেষে সাড়ে সাত হাজার টাকায় রাজি হন অধ্যক্ষ কিন্তু শর্ত ১ ঘন্টার মধ্যেই তার বাড়িতে গিয়ে দিতে হবে টাকা। 

নিরুপায় হয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে সাড়ে সাত হাজার টাকা সহ বাসায় দেখা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। টাকা বুঝে পাওয়ার পর ফর্ম ফিলাপের কথা বললে একটু পর করে দেবেন বলে জানান সেই অধ্যক্ষ। 

অধ্যক্ষের এমন  চতুর কথায় ফরম ফিলাপ হবে না বলে বুঝতে পেরে বিষয়টি চিফ টিভিকে জানান ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী। চিফ টিভির উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ টাকা ফিরত দিতে চায় সেই অধ্যক্ষ এবং পরে সাড়ে তিন হাজার টাকায় ফরম ফিলাপ করে দেন বলে জানান সে। এখন প্রশ্ন যেখানে লাখ টাকা দিয়েও ফিরম ফিলাপ হবে না, সেখানে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে সে ফিলাপ করে দিলেন। আর এই ছাত্রীর ফিলাপ হলেও কেন বাকি ৫০ জনের ফিলাপ হবে না প্রশ্ন থেকেই যায়।

এই ভাবেই তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, আরও গভীরভাবে অনুসদ্ধান করতে চিফ টিভির প্রতিনিধি চলে যান সেই মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজে সেখানেও নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্র ছাত্রীও দেন এমন অভিযোগ। কিছুক্ষণ পড়েই ম্যানেজ করার জন্য ভূইফোড় দালাল একদল সাংবাদিকসহ সেখানে স্থানীয় নেতা ও গুন্ডা পান্ডার সম্মুখীন হন চিফ টিভির প্রতিনিধি। এমন সময় ৫ হাজার টাকা দিয়ে বলেন নিউজ করলে খবর আছে। টাকা গ্রহণ না করায় দেন মামলা করার হুমকী এবং সেই ভূইফোড় দালাল সাংবাদিক বলেন আপনারা নিউজ করলে আপনাদের নামে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। কোন ভাবেই এই নিউজ করা যাবে না টাকা নেন আর চলে যান এখান থেকে। টাকা না নিয়েই সেখান থেকে কেটে পড়েন চিফ টিভি প্রতিনিধি। 

তাহলে এখন প্রশ্ন যেখানে লক্ষ টাকা দিলেও হবে না ফরম ফিলাপ। সেখানে ৩ হাজার ৫শ টাকা দিয়েই হয়ে গেলো ফরম ফিলাপ। আর ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের করতে দেবে না ফরম ফিলাপ। তাহলে যেই ছাত্রী কখনো পরিক্ষায় দেয়নি সে কীভাবে করতে পারলেন ফরম ফিলাব।

উল্লেখ্যঃ এ নিয়ে ২য় পর্ব খুব শিগগিরই আসছে, দ্রুত জানতে পারবেন এর পেছনে আর কে কে রয়েছেন এবং কাদের ইন্দনে করছেন শিক্ষার নামে বাণিজ্য।

কোন মন্তব্য নেই