শিরোনাম

চাঁদের উল্টো পিঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরল চীনের চন্দ্রযান - Chief TV - চিফ টিভি

চাঁদের উল্টো পিঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরল চীনের চন্দ্রযান
ছবি-প্রতিনিধি
ডেস্ক রিপোটারঃ

পৃথিবী থেকে চাঁদের উল্টো পিঠটি কখনোই দেখা যায় না। তাই চাঁদের উল্টো পিঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে নজির গড়লো চীনের চন্দ্রযান চ্যাং'ই-৬। সেইসঙ্গে চাঁদের উল্টো পিঠ থেকে নমুনা সংগ্রহকারী প্রথম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল জিংপিং-এর দেশ। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর চীনের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলীয় অঞ্চলে চ্যাং'ই-৬ মহাকাশযান অবতরণ করে। চীনা বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীতে আনা নমুনার মধ্যে ২.৫ মিলিয়ন বছর বয়সী আগ্নেয়গিরির শিলা এবং অন্যান্য বস্তু রয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে এটি চাঁদের উভয় প্রান্তে অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে ভৌগোলিক পার্থক্য সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেবে। চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা সিএনএসএ এ চন্দ্রাভিযানকে সফল বলে আখ্যা দিয়েছে। এর আগে আমেরিকা ও রাশিয়ার মহাকাশযানও চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে, তবে এই প্রথম কোনো চীনা মহাকাশযান চাঁদের দূর থেকে নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। চাঁদের উল্টো পিঠ বলতে চাঁদের অন্ধকার দিকটিকে বোঝায়। পৃথিবী থেকে ওই দিকটি কখনও দেখা যায় না।

সূর্যালোকও পৌঁছায় না সেখানে। পৃথিবীর সঙ্গে জোয়ার-ভাঁটার সম্পর্ক চাঁদের। যে সময় নিজের অক্ষে পাক খায় চাঁদ, ওই একই সময়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ফলে চাঁদের একটি পিঠই পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান। তাই বলে চাঁদের উল্টো পিঠ নিয়ে উৎসাহে খামতি নেই। কারণ চাঁদের যে অংশ পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান, তার সঙ্গে উল্টো পিঠের ফারাক অনেক। 

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের উল্টোপিঠে মাটির আবরণ অনেক পুরু। গহ্বরের সংখ্যাও বেশি। লাভায় ঢাকা সমতল অঞ্চলের বিস্তৃতি অনেক কম, যা থেকে চাঁদের বিবর্তনের ইতিহাস জানা সম্ভব বলে মত বিজ্ঞানীদের। চাঁদের বুকে ৫৬ দিনের অভিযানে পাঠানো হয়েছিল চ্যাং'ই-৬ চন্দ্রযানকে। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে ধীরে ধীরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর, ২৫০০ কিলোমিটার চওড়া অববাহিকায় নামে সেটি।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের বুকের ওই অববাহিকা এখনও পর্যন্ত সৌরজগতের বৃহত্তম। ঠিক কী থেকে ওই অববাহিকার সৃষ্টি, তা স্পষ্ট নয়। তবে মাটি খুঁড়ে তুলে আনা নমুনা পরীক্ষা করে সেই সম্পর্কে ধারণা মিলতে পারে। লিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা ও মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রভাষক মার্টিন বার্সট্রো বলেছেন, “এটি চীনের জন্য একটি বড় অর্জন। চাঁদ থেকে যে কোনো নমুনা সংগ্রহ খুবই কঠিন। দূরবর্তী অঞ্চল থেকে এটি আরও কঠিন। কারণ সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই কঠিন।”

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

   


কোন মন্তব্য নেই