শিরোনাম

কলাপাড়া-কুয়াকাটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ - Chief TV - চিফ টিভি

কলাপাড়া-কুয়াকাটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ
ছবি-প্রতিনিধি
ডেস্ক রিপোটারঃ

কলাপাড়া-কুয়াকাটা পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেন। এতে পর্যটকসহ জনসাধারণের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার মাঝে বড় বড় পার হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা লাঘব হবে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও দ্রুত স্থায়ী সংস্কারের দাবি জানান তারা।

কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই পাখিমারা বাজারের কেন্দ্রসহ মৎস্য বন্দর আলিপুর থ্রি পয়েন্ট পর্যন্ত বড় বড় গর্তে কয়েকফুট পানি জমে থাকে। এতে করে কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ সকল জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্বাভাবিক চলাচলসহ যেকোনো যান চলাচল করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয় কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাখিমারা বাজার এবং আলিপুর থ্রি পয়েন্ট এলাকায়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরে গত রোববার সড়কটি সাময়িক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

পাখিমারা বাজার এবং আলীপুর বাজারের থ্রি পয়েন্টে বড় বড় গর্তের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় ইট দিয়ে সাময়িক যাতায়াতের উপযোগী করার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম জানান, সেতুটি উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে সড়কের সাময়িক সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজার থেকে মহিপুর মৎস্য বন্দরের শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কি. মি. অংশের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে খুলনার দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তখন এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ২০ কোটি টাকা। কাজটি মানসম্মত না হওয়ায় তখন ঠিকাদারের বিল আটকে দেয় পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দুটি দল সরজমিন তদন্তও করেন। তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকেও কাজের গুণগত মান ভালো হয়নি বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়। নিম্নমানের কাজের কারণে তখন সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৮ কোটি টাকার বিল আটকে দেয়। তবে এ কাজ বাবদ ১২ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম চূড়ান্ত বিল দাবি করে ২০১৪ সালে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার কারণে ১১ কি. মি. সড়কের ওপর সংস্কার কাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। যার ফলে গত দশ বছর ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকে পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত এ অংশের সড়কটি। তবে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ার কারণে সওজ কর্তৃপক্ষ এ অংশে জরুরি মেরামতের কাজ করে সচল রাখে সড়কটি।

কোন মন্তব্য নেই