শিরোনাম

সিআইডি’র তদন্ত দল দেখে আবারো দৌড়ে পালালেন সুপারসহ ৮ শিক্ষক! - Chief TV - চিফ টিভি

সিআইডি’র তদন্ত দল দেখে আবারো দৌড়ে পালালেন সুপারসহ ৮ শিক্ষক!
ছবি-প্রতিনিধি
বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

আবারো দৌড়ে পালালেন সুপারসহ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পারফলসি মাদ্রাসার ৮ শিক্ষক। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়ে দুনীর্তির অনুসন্ধানে যান ঝিনাইদহ সিআইডি’র একটি তদন্ত দল। সিআইডি’র তদন্ত দল দেখামাত্রই মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হক দৌড় দিয়ে পালিয়ে যান। এর পরপরই একে একে পালান আরো ৭ শিক্ষক। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ঝিনাইদহ সিআইডির তদন্ত কর্মকতার্ আতিয়ার রহমান খবর নিশ্চিত করে জানান, মৃত সভাপতির সাক্ষর জাল করে ওই মাদ্রাসায় ১২জন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হলে আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে সিআইডি। একাধিকবার ওই মাদ্রাসায় সরজমিন পরিদর্শনে গিয়েও সুপার ইয়ারুল হক সহযোগিতা করেন নি। তিনি শিক্ষক নিয়োগের কাগজপত্র দেননি। বরং যতবার সিআইডি’র তদন্ত দল মাদ্রাসায় গিয়েছে ততবারই সুপারসহ শিক্ষকরা পালিয়েছেন।

প্রত্যাক্ষদশীর্ কনক মন্ডল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি’র তদন্ত দল মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে ৩/৪ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন তদন্ত দল খবর পেয়ে সুপার ইয়ারুল হক আগেই পালিয়ে যান। এরপর একে একে শিক্ষক বাবু হোসেন, রুহুল আমনি, মঞ্জুরা খাতুন, মসলেম উদ্দীন, সাইফুর রহমান, খায়রুল ইসলাম ও আবু সালেহ পালিয়ে যান। সিআইডি কর্মকতার্ আরো জানান, বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এনে নতুন করে আদেশ চাওয়া হবে।

এছাড়া সুপারসহ শিক্ষকদের চিঠি দিয়ে নিয়োগের কাগজপত্র হাজির করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারীকে বলা হয়েছে।

মাদ্রাসার সভাপতি হরিণাকুন্ডু উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ আক্তার হোসেন ও হরিণাকুন্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমানকে অবহিত করা হয়েছে।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে হরিণাকুন্ডু উপজেলার পারফলসি গ্রামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২২ সালের ৬ জুলাই মাদ্রাসাটি রাতারাতি এমপিও ভুক্ত হলে বর্তমান ইয়ারুল হক হঠাৎ আর্বিভুত হন সুপার হিসেবে। এরপর দাবী করে বসেন প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খলিলুর রহমান তাদের নিয়োগ দিয়ে গেছেন। এ নিয়ে এলাকায় শোরগোল শুরু হলে মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ছেলে কনক মন্ডল মামলা করে বসেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে।

মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দপ্তরী হিসেবে দায়িত্ব পালনরত মনজের আলী জানান, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল এই ১০ বছর পর্যন্ত বর্তমান সুপার ইয়ারুল হক ছিল না। এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর তিনি রাতারাতি উড়ে এসে জুড়ে বসেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার ইয়ারুল হক দৌড় দিয়ে পালানোর বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভুয়া নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, কোথায় কবে নিয়োগ বোর্ড বসেছিল তা তার এখন মনে নেই।

বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, সিআইডির তদন্ত কর্মকতার্ মঙ্গলবারের ঘটনাটি তাকে অবহিত করেছেন। সিআইডির চিঠি পেলে সে ভাবেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


 


 

কোন মন্তব্য নেই