গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর শাসন মানবে না ফিলিস্তিন - Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
ছবি-প্রতিনিধি |
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী দ্বারা গঠিত প্রশাসনের ইসরাইলের যে প্রস্তাবনা রয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট প্রশাসন। রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা গাজায় কোন আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রাশাসন মেনে নেবে না। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রেসিডেন্টের সরকারি মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন বলেছেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে কোনো বিদেশী উপস্থিতির বৈধতা নেই। শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন সরকার তাদেরকে শাসন করবে এবং কারা তাদের রাজনৈতিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে যে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় থাকবে যতক্ষণ না সেখানে আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজা শাসনের ভার নেবে। মূলত ইসরাইলি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই গাজার শাসন নিয়ে ওমন সতর্কবার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের ওই মুখপাত্র।
উপনিবেশ অবৈধ হলেও ইসরাইল তা গাজায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আবু রুদেইন। তিনি বলেছেন তারা সাধারণ জনগণকে বাস্তুচ্যুত এবং হত্যা করে সেখানে (গাজায়) দখলদারি স্থায়ীত্বের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা কোনোভাবেই আমাদের ভূখণ্ড বিদেশী শক্তির হাতে ছেড়ে দেব না, সেটা পশ্চিম তীর হোক বা গাজা হোক। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া না দেওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এটি সমগ্র আরবের একটি বিষয় বলে মনে করেন ফিলিস্তিনি ওই মুখপাত্র। গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
তারা সেখানে হামাস নির্মুলের নামে শিশু এবং নারীদের হত্যা করছে। ফলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত দেশটিকে অবিলম্বে গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করছে ইসরাইল।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি নারকীয় হত্যাযজ্ঞে নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮৭ হাজার ফিলিস্তিনি।
গত আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। সেখানে তেল আবিবের অবরোধের কারণে নেই পর্যাপ্ত খাদ্য। তাই খাদ্য সংকটে গাজার লাখ লাখ বাসিন্দা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এছাড়া মানুষের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা এবং শিক্ষাকেও পুরোপুরি ধ্বংস করেছে ইসরাইল। তেল আবিবের এসব কর্মকাণ্ডের জেরে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। সম্প্রতি গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় হামলা জোরালো করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে গাজাবাসীর শেষ আশ্রয় স্থলটিও হারাতে বসেছে সেখানের জনগণ।
কোন মন্তব্য নেই