কুড়িগ্রামে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি, আবারো বন্যার আশঙ্কা - Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
ছবি-প্রতিনিধি |
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। তবে, গতকাল তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে থাকলেও আজ তা সামান্য কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে, এসব নদনদী অববাহিকার বেশ কিছু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে এসব নীচু এলাকার শাক-সবজি, পাট সহ মৌসুমি ফসল গুলো । প্লাবিত এসব এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন বন্যা আতঙ্কে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯ টার কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গতকাল তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ওপরে থাকলেও গত ২৪ ঘন্টায় তা ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অনান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৪১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৮ এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারেরা বলেন, 'বসতবাড়ির চারিদিকে পানি থাকায় ছোট সন্তানকে নিয়ে বিপাকে আছি। গবাদি পশু গুলোকে ঘর হতে বের করতে পারছিনা। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা হতে পারে। বন্যা আসলে আমরা সবাই বিপদে পরবো!'
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই