বগুড়ায় একই পরিবারের রহস্যজনক ৭জন নিখোঁজ - Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
ছবি-প্রতিনিধি |
বগুড়ার সদর থানাধীন নারুলীয় একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৭ জন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। গত ৫দিন ধরে তাদের কোনো সন্ধান পায়নি নিখোঁজদের স্বজনরা।
এরই প্রেক্ষিতে, গত শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে এঘটনায় থানায় জিডি করেছেন ওই পরিবারের প্রধান জীবন মিয়া।
জানা যায়, চলতি মাসের ৩ তারিখ যেকোনো সময়ে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে এক সাথে নিখোঁজ হন ৭ জন। তারা সকলেই নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থাকতেন।
নিখোঁজ নারী ও শিশুরা হলেন,জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০) তার তিন সন্তান সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৩), জমজ দুই ছেলে হাসান (৬), হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০) শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) ও শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭) ।
জীবন মিয়া হলেন, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদর এলাকায়।
তিনি গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। একই বাসায় স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকাসহ বসবাস করতেন। তার শাশুড়ি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করতেন। আর তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনা বেচার দোকান পরিচালনা করেন।
নিখোঁজের বিষয় জীবন মিয়া জানান, গত ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে খাবার খেতে এসে দেখতে পান বাসায় কেউ নেই। স্ত্রীকে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পায় এবং শাশুড়ির ফোন বাসাতেই দেখতে পান তিনি। বাসা থেকে পরনের কাপড় ছাড়া অন্য কিছু তারা নিয়ে যাননি। আশেপাশে অনেক খোঁজার পরেও যখন তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে তিনি লালমনিরহাটে তার শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ করে সেখানেও সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, লালমনিরহাটে যোগাযোগ করলে তার নানী শাশুড়ির কাছে তিনি জানতে পারেন যে এক মাস আগে একব্যক্তি তার শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ভালো চাকুরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জীবন মিয়ার ধারণা অপরিচিত ওই ব্যক্তির প্রলোভনে পড়ে ভালো চাকরির আশায় তারা মানব পাচারকারীর কবলে পড়তে পারেন।
এই বিষয়ে নারুলী পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম জানান, ফাতেমা বেবি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে গত ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি আর আসেন না। পরে ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে ফোন করা হলে জীবন মিয়া ফোন রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এরপর তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে বিস্তারিত শুনে থানায় পাঠিয়ে জিডি করার ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, একসাথে ৭জন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আমরা স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছি, জীবন মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে কিছু দেনা থাকার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। তারপরেও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই