সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও দখল করাই কী তার পেশা? কে এই উজ্জ্বল মেম্বার? - Cheif TV News
ফয়সাল হোসাইন সনি, বগুড়াঃ
এক জন মেম্বার অথচ মামলায় জরাজীর্ণ তার জীবন, আসলেই কী সে দোষী? তিনি কী জনপ্রতিনিধি নাকি জনপ্রতিনিধির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চাঁদাবাজী, বিচারের নামে দখলদারী, সন্ত্রাসীকান্ড করে এলাকায় প্রভাব খাটানোই তার কাজ। নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল শুধু যে একজন ইউপি সদস্য তা কিন্তু নয়, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন নেতাও বটে। নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল চলতেন রফি নেওয়াজ খান রবিন খানের ছত্র ছায়ায়। ৫ আগস্টে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে রফি নেওয়াজ খান রবিনসহ তার ছত্র ছায়ায় যারা চলত তাদের কাউকেই আর খুজে পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রতিনিধির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভেতরের খবর।
নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল একজন জনপ্রতিনিধি, তবে কীভাবে হলেন, তিনি আগে কী ছিলেন, এখন কী হয়েছেন এবং কী হতে চান? অভিযোগ উঠেছে সুখানপুকুর ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল জনপ্রতিনিধির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজী, ব্লাক মেইল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ দখল বানিজ্য করে আসছেন । তার বিপক্ষে যারা কথা বলেন তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে থামিয়ে রাখেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় যে সব সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে লিখতে চান তাদের ম্যানেজও করা হয় টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহারে। আবার যারা ম্যানেজ না হতে চান তাদেরকে রফি নেওয়াজ খান রবিনের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রাণ নাশেরও হুমকি ধামকী দেয়া হয়।
নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল পুর্বে পেশায় ছিলেন একজন ফল ব্যবসায়ী। বগুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গাতে ভাড়ে করে খুচরা মুল্যে ফল বিক্রি করতেন। তবে ফল বিক্রির পাশাপাশি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতার সাথে শুরু করেন পথ চলা। আর সেই পথ চলাতেই খুলে যায় তার ভাগ্য, বনে যান ইউপি সদস্য। আর ইউপি সদস্য হবার পর থেকেই উজ্জ্বল শুরু করেন নানা ধরনের অপরাধ মূলক কাজ।
সুখান পুকুরের এক হিন্দু পরিবারকে বিচার শালিশের মাধমে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন, এমনকি তাকে বাধ্য করেছিলেন এলাকা ছাড়তে। সেই পরিবারের লোকজন এলাকা নয়, বগুড়া জেলা নয় তার সম্পত্তি, নামে মাত্র মুল্য দিয়ে বিক্রি করে, রাতারাতি দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি দেন, আর ভারতেই জীবন যাপন করছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন, উজ্জ্বলের অত্যাচারে অত্যাচারিত সেই ভুক্তভোগী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বিভিন্ন মানুষেরও নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। প্রথমে সেই অভিযোগ গুলো মিথ্যা মনে হলেও একে একে যখন অভিযোগের পাহাড় গড়ে উঠছিলো, তখন অনুসন্ধান শুরু করতেই যেনো এক এক করে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। কী কী অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, যেমন অত্যাচার, অনাচার, বিচারের নাম করে টাকা নিয়ে বিচার উল্টিয়ে দেয়া, চাঁদাবাজী, দখল বানিজ্য, বালু দস্যুতা, ব্লাক মেইল এবং সন্ত্রাসীতেও পরিণত হয়েছেন তিনি। নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল বিচারের নামে বিভিন্ন জায়গাতে প্রভাব খাটিয়ে টাকার লোভে এবং টাকার বিনিময়ে বিচারের ফলাফল বদলে ফেলেন, যারা টাকা দেয় তাদের হয়েই কাজ করেন উজ্জ্বল, কে অভিযুক্ত কে অপরাধী তার দেখবার বিষয় নয়, উজ্জ্বল শুধু দেখেন টাকা, আর যে টাকা দেবে তার পক্ষেই রায় দেবে উজ্জ্বল। আর তার রায়ই যেনো শেষ কথা, তার কথার উপরে কথা বলতেননা কেউই।
সুখানপুকুরের অদূরে বসবাসকারী এক জনের মেয়েকে অপহরণ করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়। মেয়েটিকে রেখে একাধিকবার ধর্ষন করা হয়েছিলো। এমন একটি ঘটনায় প্রথম একদিন বিচার বসে, আর সেই বিচারে মেয়েটির সংগে সেই ধর্ষনকারীর বিয়ে দিতে চেয়েছিলো নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল। তবে মেয়ের পরিবার সেই দিন মামলা না করে এই উজ্জ্বলের ভয়ে ভীতু হয়েছিলো। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও গোপনে বিষয়টি এই প্রতিনিধিকে জানান তারা। ভুক্তভোগী এই পরিবার আজকের বসুন্ধরাকে বলেন, ক্লাস সেভেনে পড়া স্কুল পড়ুয়াকে একই উপজেলার এক ছেলে তার মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং তিন মাস ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তার মেয়েকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষন করেছে। তাদের দাবী আমরা আমাদের মেয়েকে অনেক খোঁজা খুঁজি করি, এক সময় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম, যে আমার মেয়ে আর পৃথীবিতেই নেই। তবে একদিন আমার মেয়ে আমার বাড়িতে এসে পড়ে। সেদিন সে জানায় বিগত তিন মাস ঘর থেকে বের হতে দেয়া হয়নি মেয়েটিকে, তাকে ধর্ষন করা হয়েছে, ভাগ্যক্রমে সে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। চলছিলো উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি, এমতাবস্থায় উজ্জ্বল মেম্বারের বাধায় মামলা না করে শুরু হয় গ্রাম্য শালিশ। বিচার চলাকালীন বিয়ের প্রস্তাব দেন উজ্জ্বল মেম্বার, ছেলের পরিবার রাজি থাকলেও রাজি ছিলেন না মেয়ের পরিবার। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে সেই দিন মেয়ের পরিবারকে প্রস্তাব দেয়া হয় টাকার। এক পর্যায়ে দেড় লক্ষ্য টাকা দেবার কথা থাকলেও, পরে আরও এক বার বৈঠক করে সেই দেড় লক্ষ্য টাকা হয়ে যায় ৫৫ হাজার টাকা। তবে ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবারের দাবি ছেলের পরিবার থেকে টাকা নিয়ে বাকি টাকা উজ্জ্বল নিজেই নিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার আরও বলেন, তারা গরীব তাদের পক্ষে কেউ নেই উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে দাড়ালে এলাকা ছাড়তে হবে, তাই উজ্জ্বল মেম্বারের বিরুদ্ধে জাননি তারা।
টেন্ডার বাজি, বালু দস্যুতা, মাটি বিক্রির মতো জঘন্য কাজেও লিপ্ত ছিলো নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল। জানা যায় সুখান পুকুর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন জায়গাতে ছিলো তার বালুর পয়েন্ট। জায়গা দখল করে বালু উত্তলন করতেন নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও তার সংগী স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা পলাশ রায় পলান। এই বালু উত্তলন নিয়ে একাধিকবার গাবতলী উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও তৎকালীন গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগও দিয়েছেন ওই এলাকার জন সাধারণ। কে শোনে কার কথা, সরিষার ভেতরে ভূত যারা অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ নেবে, তারাই যেনো টাকার বিনিময়ে অভিযোগ পেয়েও বসে থাকতেন, নিতেন না কোন ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগে একটি রাস্তার কাজও পান নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল, সেখানেও করেন কারচুপি। নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে করছিলেন রাস্তা নির্মাণের কাজ। সেসময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে, সেই সব নিম্ন মানের সামগ্রী বাদ দিয়ে ভালোভাবে শেষ করেন রাস্তাটির কাজ।
অনুসন্ধান চলাকালে বেরিয়ে আসে আরও একটি ঘটনা। নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলের ইন্ধনে একই ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য ববিতাকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাকা পয়সা ওয়ালা ব্যবসায়ীদেরকে ব্লাক মেইল করে তাদের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা নিতেন উজ্জ্বল, পলান ও ববিতা। তবে স্থানীয় এক সাংবাদিক তাদের এই সিন্ডিকেট নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর ২ জন ভুক্তভোগী যৌথভাবে মামলা করেন। নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল এখানেও তার কুটকৌশল ব্যবহার করে প্রায় ৪৫ দিন পলাতক থেকে বিজ্ঞ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন। আর আগাম জামিন নিয়েই সেই সংবাদকর্মীর উপরে দেন পর্ণগ্রাফী আইন ও চাঁদাবাজী মামলা।
আগাম জামিন নিয়েই সে আবারো শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এমনই একটি ঘটনা জানা গেছে যে, বগুড়া শহরের খান্দার এলাকার যুগোল প্রেমিক প্রেমিকা সুখানপুকুর এলাকায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে সেই এলাকাতে যান। বিশেষ কারণে সেই এলাকা ছাড়তে তাদের সন্ধ্যা লেগে যায়। আর এই সন্ধ্যা লাগানোর সুযোগ নিয়ে নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও তার দলবল তাদের কে জিম্মি করে ২ লক্ষ টাকা নেন।
থেমে থাকেনি উজ্জ্বলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলের শালার নামে একটি মামলা করেন ওই এলাকাতে বসবাস কারী একজন ভুক্তভোগী। আর সেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য একাধিকবার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল। পড়ে মামলার বাদী মামলা তুলে না নিলে উজ্জ্বল তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে ওই বাদীর বাড়িতে গিয়ে লাঠি শোটা দিয়ে পুরো পরিবারকে মারধর করেন। তারা আহত হলে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা নেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন উজ্জ্বল, এসব তথ্য প্রতিনিধিকে জানান ভুক্তভোগী রাশেদা নামের এক মহিলা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাবতলী থানাতে আবারও একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী রাশেদা। তবে এই মামলায় বেশি দিন পলাতক থাকতে হয়নি নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলকে, মাত্র আনুমানিক ৭ দিন পালিয়ে থাকার পরেই জামিন পেয়েছেন উজ্জ্বল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাবতলী থানার একজন পুলিশ কনস্টেবল বলেন সাব ইন্সপেক্টর শহিদুলসহ একাধিক পুলিশের সাথে উজ্জ্বলের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মামলা হবার প্রস্তুতি নিতেই উজ্জ্বল গা ঢাকা দিয়ে থাকেন।
মামলা খেয়ে ধরা না পড়ার কারণে আরও বেড়ে যায় তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তবে এবার আর এসব ছোট খাটো বিষয় নয়, এবার নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলের নামে অভিযোগ উঠেছে হত্যা মামলার।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আনন্দ মিছিলে বগুড়ার সোনাতলায় স্কুল শিক্ষার্থী নবম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন নিহত হয়। এ ঘটনায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুখাননপুকুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পুরুষ ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত স্কুলছাত্রের বাবা শাহীন আলম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনাতলা থানায় এ মামলাটি রুজু করেন। এ মামলায় ইউপি সদস্য উজ্জ্বল এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানসহ ২০ জনকে আসামি করেছেন নিহতের বাবা । এছাড়াও এ মামলায় আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর আগে ৫ আগস্ট বিকেলে সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের শিহিপুরে আনন্দ মিছিলে হামলায় স্কুলছাত্র সাব্বির নিহত হয়। নিহত স্কুল পড়ুয়া গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলিহাটা গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে সাব্বির। সাব্বির গাবতলীর সুখানপুকুর বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার নবম শ্রেণীতে পড়তেন। তবে এই মামলায় উজ্জ্বলের সংগী রয়েছেন তার সাথে সব ধরনের অপকর্ম করা আওয়ামীলীগের ছত্র ছায়ায় চলা ফেরা করা পলাশ চন্দ্র রায় পলানও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ৫ আগস্ট বিকেলে ওই এলাকায় আনন্দমিছিল বের করা হয়। দিগদাইড় ইউনিয়নের শিহিপুড়ে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে হামলা হয়। জানা যায় ইউপি সদস্য উজ্জ্বলের নির্দেশেই আনন্দ মিছিলে হামলা করা হয়। আর সেই আনন্দ মিছিলে যোগ দেওয়া স্কুলছাত্র সাব্বির হোসেনের পিতা বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সাব্বিরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল এক এক করে অপরাধের সংখ্যা বাড়িয়েই চলছেন, এদিকে এ সব সমস্যা সমাধান করছেন তার ছোট ভাই আঃ রাজ্জাক। আঃ রাজ্জাকের চিন্তা ছিলো আগামী ইউপি নির্বাচনে তার ভাই উজ্জ্বলকে মেম্বার নয়, চেয়ারম্যান পদেই নির্বাচন করাবেন। এমন তথ্যও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। উজ্জ্বল অপরাধ করেন আর সেই অপরাধ তার ছোট ভাই রাজ্জাক টাকা পয়সা দিয়ে মিমাংসা করেন বলে জানা গিয়েছে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই রাজ্জাকও বিভিন্ন অপরাধ করে গড়ে তুলেছেন টাকার পাহাড়। কোথায় থেকে এতো টাকা পেলো কীভাবে পেলো এসব তথ্য থাকবে পরের প্রতিবেদনে।
গোপন সুত্রে জানা যায়, নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও পলাশ চন্দ্র রায় পলান, এরই মধ্যে তারা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতিও নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতে পলাশ চন্দ্র রায় পলানের আত্মীয়র বাড়ি রয়েছে, আর ভারতে যাবার পর সেই আত্মীয়র বাড়িতেই তারা থাকবেন বলেও জানা গেছে। নুরুল ইসলাম উজ্জ্বলকে নিয়ে এ অনুসন্ধাম চলমান রয়েছে। হয়তো, খুব শিগগিরই জানতে পারবেন, নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর গোপন আরও তথ্য।
কোন মন্তব্য নেই