শিরোনাম

গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় সমন্বিত টাস্কফোর্স - Chief TV - চিফ টিভি

গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় সমন্বিত টাস্কফোর্স
ছবি-প্রতিনিধি
মাহাবুল ইসলাম পরাগ, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরে শতভাগ কারখানায় চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ভাবেই চলছে সবগুলো কারখানা। কারখানা নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স। কারখানা মালিক ও বিজিএমইএ নেতারা বলছেন,কারখানা নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে পোশাক খাতকে এক নম্বর অবস্থানে এগিয়ে নিতে চান তারা।

শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে তৈরি পোশাক সহ বিভিন্ন কারখানায় চলছে উৎপাদন, বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করছেন শ্রমিকরা। কারফিউসহ নানা আন্দোলন সংগ্রামের কারণে কয়েকদিন কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক শিল্প। 

শুরুতে মালিকরা নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায়  নিরাপত্তা বিধান করে কারখানা চালু করেন। তবে সার্বিক নিরাপত্তায় শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স। সেনাবাহিনীর কর্ণেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স গাজীপুর, আশুলিয়াসহ  টঙ্গী, গাজীপুর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তায় কাজ করছে।

কারখানা মালিকরা বলছেন, গাজীপুরসহ অন্যান্য শিল্প এলাকায় শতভাগ কারখানা চালু করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স সেল গঠন করা হয়েছে। সেনা সদস্যদের ব্যাপক টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ কেটেছে। শ্রমিকরা বলছেন, কারখানা নিরাপত্তায় সেনা বাহিনী নামায় তারা খুশি। এতে পোশাক কারখানায় কোন সমস্যা হবে না। নিরাপত্তার পাশাপাশি কারখানা ভালো চলুক এই প্রত্যাশা তাদের।

সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা পরিদর্শনে আসেন সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তা কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির এডিশনাল সেক্রেটারি মনসুর খালেদ, শিল্প উদ্যোক্তা তামান্না ফারুক, স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সিইও শরিফুল রেজা প্রমুখ।

এসময় বিজিএমইএ পরিচালক ও স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অর্ডার বাতিলের খবর পাইনি। বিদেশি বায়াররা সবাই পজিটিভ। বুধবার থেকে আমাদের কারখানা চালু হয়েছে। সেই দিন ৮১ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। তবে আজ শতভাগ কারখানা খোলা এবং উপস্থিতিও শতভাগ।’ 

বিডি কালেকশনের মালিক তামান্না ফারুক বলেন, ‘বিগত সময়ে পোশাক মালিকরা অনেক কিছু বলতে পারেনি , সহযোগীতা পায়নি। তবে আমরা মালিক ও শ্রমিক ভাইয়েরা দেশের জন্য কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করব। নতুন সরকারের সহায়তায় আমাদের পোশাক রপ্তানিকে এক নম্বরে নিয়ে যাব।’

শিল্প পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, গাজীপুরে ২ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এতে কাজ করছে অন্তত ২২ লাখ শ্রমিক।

কোন মন্তব্য নেই