কাউনিয়ায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ - Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
ছবি-প্রতিনিধি |
কাউনিয়া উপজেলার খোর্দ্দ ভূতছাড়া গ্রামের বাসিন্দা সম্পা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ কে স্বামীর বাড়ীতে বেদম মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বামীর বাড়ীর লোকজন পালিয়ে যায়। হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর শুক্রবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভূতছাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবিরের কন্যা সম্পা খাতুন (২৫) এর সাথে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ গ্রামের আলেফ উদ্দিনের পুত্র শাহ আলমের সাথে ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাকিব নামের ৪ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে ।
নিহত সম্পার ভাই শাহজাহান আলী বলেন, আমার বোনের বিয়ের সময় ভগ্নিপতি কে নগদ এক লক্ষ টাকা যৌতুক দেই। এর পরেও প্রায় সময় আমার বোনকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ননদ মিলে মারপিট করতো। আমরা বিভিন্ন সময়ে ১০-২০ হাজার করে টাকা বোনের স্বামী কে দিতাম। যখন ঢাকা দিতাম তখন ভালো ব্যবহার করতো। এভাবেই শারিরীক নির্যাতন সয্য করেও বোনটা আমার ৭ বছর ধরে স্বামীর সংসার করে আসছিল। ঘটনা দিন সোমাবার (১৩ আগষ্ট) রাতে আমার বোন কে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় বেদম মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে গোপনে পাশ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী কে ভর্তি না নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেন। ওই রাতে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকা জনক অবস্থায় সম্পাকে ভর্তি করে সম্পার বাবার বাড়িতে খবর দিয়ে সম্পার স্বামী সহ তার বাসার লোকজন পালিয়ে যায়। হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর শুক্রবার রাতে মারা যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে কাউনিয়ার শহীতবাগ খোর্দ্দ ভূতছাড়া গ্রামে পিতার বাড়িতে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে লাশ নিয়ে আসা হয়।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই