ভালোবাসার কাছে হার মানলো ধর্ম - সামাজিক স্বীকৃতি চান তিথী-জাহিদ - Chief TV News
শুভজিৎ সরকারঃ
প্রেম-ভালোবাসা যে কোনো বাধা মানে না তা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের কুমারি তিথি রানী (১৮) ও জাহিদুল আকন্দ (২৮)। দুজন দুই ধর্মের হয়েও করেছেন বিয়ে, রয়েছেন একে অপরের সঙ্গে।
ভালোবাসা সত্যি হলে কোন প্রতিবন্ধকতাই যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না বিয়ে করে সেটি প্রমাণ করে সমাজে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এই দম্পতি।
ঘটনাটি ঘটেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানাধীন কোদলা গ্রামে। কুমারী তিথি রানী (বর্তমান নাম :আজমিরা খাতুন) হিন্দু ধর্মের হয়েও মুসলিম যুবকে বিয়ে করেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানাধীন চান্দাইকোনা গ্রামের নিপেন চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে। বিয়ে করেছেন একই উপজেলাধীন কোদলা গ্রামের কামাল পাশার ছেলে জাহিদুল আকন্দকে (২৮)।
গত, ১৭ই সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের মোকাম নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ইসলামের রীতিনীতি মেনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর পূর্বে গত, ১৩ই সেপ্টেম্বর কুমারী তিথি রানী রাষ্ট্রীয় আইন ও ইসলাম ধর্মের রীতি মেনে স্বইচ্ছায় কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর কুমারী তিথি রানী থেকে তার নাম রাখা হয় আজমিরা খাতুন।
এই বিষয়ে আজমিরা খাতুন চিফ টিভিকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই তার ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বিশ্বাস ছিল। ইসলাম ধর্মের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে তিনি মিশতেন। বিভিন্ন সময় তিনি ইসলামী বিভিন্ন ওয়াজ ও ধর্মীয় কথা শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরো বলেন, জাহিদের সঙ্গে প্রেম হবার পর থেকে ইসলাম ধর্মের প্রতি তার ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জাহিদুল আকন্দকে বিয়ে করেন।
বর্তমান দেশে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে সমাজের সবার কাছে একটি বিতর্কের বিষয়। তবুও ধর্মের তোয়াক্কা না করে প্রেমের সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে বিয়ে করেছেন তারা। বিশ্বাস আর ভালোবাসার অটুট বন্ধনে একত্রিত হয়ে বসবাস করছেন এই দম্পতি।
এদিকে ধর্ম ভিন্ন হওয়ায় দুই পরিবার থেকে মেনে নিতে পারছেনা তাদের এই বিয়ে। যদিও আজমিরা সেচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করে জাহিদের জীবনসঙ্গী হয়েছেন, কিন্তু তাতে এখনও বাধ সাধছে আজমিরার পরিবার। জাহিদের পরিবারকে দেয়া হচ্ছে হুমকি ধামকি। বাড়িতে ফিরতে পারছেন না এই দম্পতি। যেহেতু তারা প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সবকিছু বোঝার মত জ্ঞান তাদের হয়েছে, তাই সমাজ ও তাদের পরিবার যেন তাদেরকে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক জীপনযাপন করার জন্য সহযোগিতা করেন, এমন দাবি এই দম্পতির।

কোন মন্তব্য নেই