শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধবিরতি: বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছ্বাস Chief TV News

 


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ফিলিস্তিনিরা হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, মিশর, জার্মানি এবং তিউনিসিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফিলিস্তিনি ও স্থানীয় জনগণ এ চুক্তিকে বড় বিজয় হিসেবে উদযাপন করেছেন।

একটি এলইডি স্ক্রিনে দেখা যায়, ‘আজ যুদ্ধবিরতি, আগামীকাল স্বাধীনতা’ লেখা স্লোগান। ইসরাইল-হামাসের চুক্তি এখানের ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের মধ্যে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ফিলিস্তিনিরা হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি উদযাপন করেছেন আতশবাজির ঝলকানির মধ্য দিয়ে। এসময় তারা ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় সমবেত হন।

জর্ডানের বিভিন্ন শহরেও হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে যুদ্ধবিরতি উদযাপন করেছেন। ফিলিস্তিনি পতাকা এবং হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ছবি হাতে নিয়ে তারা একত্রিত হন। শরণার্থী শিবিরেও এমন উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা হয়।

তারা বলেন, আমরা এই মুহূর্তটির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছি। এ অনুভূতি বর্ণনা করতে পারছি না। সৃষ্টিকর্তার কাছে শহীদদের প্রতি করুণা এবং সমস্ত নেতাদের প্রতি রহমত কামনা করছি। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের সমর্থন করি। আমরা গাজার জনগণকে অভিনন্দন জানাই।

জার্মানির বার্লিনে ফিলিস্তিনিরা নেউকোন এলাকায় একত্রিত হন। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা নাড়িয়ে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে উদযাপন করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও উদযাপন শান্তিপূর্ণ ছিল। যুদ্ধবিরতির খবরে ইউরোপের ফিলিস্তিনিরা নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেছেন।

মিশরের রাজধানী কায়রোতেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। স্থানীয় ফিলিস্তিনি রেস্তোরাঁগুলোতে উদযাপনকারীদের ভিড় জমে যায়। তারা পতাকা উড়িয়ে এবং গান গেয়ে চুক্তিকে স্বাগত জানান। গাজা অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর এমন একটি চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে আশা করছেন তারা।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে ফিলিস্তিন সম্প্রদায়ের সঙ্গে তিউনিসিয়ার স্থানীয় জনগণ যোগ দেন। রাস্তায় নেমে তারা গানের তালে তালে নাচেন। এই চুক্তি তিউনিসিয়ার জনগণের মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি আরও সমর্থন যোগ করেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

কোন মন্তব্য নেই