সড়কের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ - Chief TV News
চিলমারী-হরিপুর সড়ক উন্নয়ন ও নির্মানে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করেই অনিয়মের আশ্রয় আর নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিজেদের খেয়াল খুশি মতো চালিয়ে নিচ্ছে সড়কের কাজ। বালি ও খোয়া মিশ্রনের পর নিয়ম মোতাবেক পানি দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টদের কোন নজরদারী না থাকায় ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছে জনজীবন। অভিযোগ উঠেছে বালি ও খোয়া মিশ্রণে পরিমানের চেয়ে বালি এবং মাটির পরিমাণ বেশি দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১০ কোটি ৩৩ লক্ষ ২ হাজার ৮৩২ টাকার কাজ পান মীর হাবিবুল আলম নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজ পাওয়ার পর থেকে হাত বদল শুরু হয় বলে জানান বিভিন্ন সুত্র। হাত বদলের কারনে কাজের ধীর গতির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেন সংশ্লিষ্টরা। চিলমারী অংশে উপজেলার মাটিকাটা মোড় থেকে চিলমারীর সীমান্ত পর্যন্ত ১২০০ মিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হলেও শুরুতেই ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
সূত্রমতে, বালির পরিমাণ ১০ ভাগ এবং খোয়ার পরিমান ৯০ ভাগ দেয়ার কথা থাকলেও খোয়ার চেয়ে বালি ও মাটির পারিমান বেশি হওয়া এবং খোয়া নিম্ন মানের কারণে শুরুতে স্থানীয়দের চাপে কাজ বন্ধ করেন তৎকীিলন উপজেলা প্রকৌশলী। পরে আবারো বিভিন্ন ক্ষমতার দাপটে অনিয়মের মধ্য দিয়েই কাজ চালিয়ে যান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতরা। উপজেলা মাটিকাটা মোড় থেকে কলেজ মোড় ও শরীফেরহাট এলাকায় কিছু অংশে বালি, মাটি ও খোয়া মিশ্রণের কাজ অনিয়মের সাথে শেষ করলেও নিয়ম অনুযায়ী পানি ছিটানোর কথা থাকলেও সেটিও করছেন না সংশ্লিষ্টরা। ফলে ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় মানুষজন।
উপজেলা যুবদলের জাহাঙ্গির আলম সাদ্দাম বলেন, প্রধান সড়কটিতেই যদি এতো অনিয়ম হয় তাহলে বাকি গুলোর কি অবস্থা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রহমান পারভেজ বলেন, কাজের অনিয়ম নিয়ে বেশ কয়েকবার নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অভিযোগও করা হয়েছিল।
মীর হাবিবুল আলম ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার লাইন্সে হলেও এটি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসের পিএস রাশেদ করছে। রাশেদ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী পানি দেয়ার কথা থাকলেও পানি দেয়নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী বলেন, আমি নতুন যোগদান করায় বিষয়টি আমার জানা নেই। আর মুল ঠিকাদারকেও পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি সম্ভবত আত্নগোপনে। তবে তার প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার সবাক বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই