বগুড়ায় এমপি কন্যা বিশেষ কায়দায় পরিক্ষা দিতে গিয়ে ধরা ! - Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
ছবিঃ সংগৃহীত |
সাকিবুর রাইয়ান, স্টাফ রিপোর্টার, চিফ টিভিঃ
শুক্রবার সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও চলছিলো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। এতে অংশ নেওয়া বেশ কিছু পরিক্ষার্থীর সন্দেহজনক আচরণে দেহতল্লাশীর পর ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে যখন আটকদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, ঠিক তখনই জালিয়াতি করতে গিয়ে আটক হওয়ার পরও প্রভাবশালী বাবার হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়েছেন উম্মে হামিদা নামের এক পরীক্ষার্থী।
জানা যায় কেন্দ্র থেকে হামিদাকে আটক করা হলেও পরে সসম্মানে তাঁকে বাড়ি পৌছে দেয় পুলিশ। কাল শনিবার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
জালিয়াতি করে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করার অপরাধে বগুড়ায় ১৯ জনকে আটক করেন কেন্দ্র পরীক্ষক ও পরিদর্শকরা। হাতেনাতে আটকের পরও হামিদাকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা জেলাজুড়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
কে এই হামিদা? প্রশ্নের উত্তরে জানা যায় উম্মে হামিদা বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সৎ মেয়ে। তার মায়ের নাম শিল্পী বেগম।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর পর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে উম্মে হামিদাসহ চারজন আটক হন। হামিদা ১১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কেন্দ্রের বাইরে হামিদার মা শিল্পী বেগমও ছিলেন। হামিদাকে আটক করলে মা শিল্পী বেগম ডিবি কার্যালয়ে যান। পরে রাত ১০টার পর হামিদাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আবারও কেন্দ্রে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঐ পরীক্ষার্থী ডিবি হেফাজতে ছিলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন সবকিছু দেখছে।’
ঘটনার সত্যতা যাচাই এ মামলার বাদী সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিতোষ চন্দ্র সরকার বলেন, রাতে থানায় তিনজনকে পেয়েছি। এর বেশি কিছু আমরা জানি না। এখানে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে মামলার বাদী হয়ে থাকি।
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার বলেন, এটা নিয়মিত মামলার বিষয় হওয়ায় কক্ষ পরিদর্শকরা ব্যবস্থা নিয়েছেন। আটকদের নাম জানা নেই।
হামিদার মা শিল্পী বেগম বলেন, ওরা না বুঝে হয়তো মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়। পরে স্যরি-টরি বলে মাফ চেয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মজিবর রহমান মজনু এমপি বলেন, ঘটনা ঘটে থাকলেও জানা নেই।
কোন মন্তব্য নেই