শিরোনাম

প্রেমের টানে মেয়ে ঘরছাড়া হলে অপহরণ মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে - Chief TV - চিফ টিভি

প্রেমের টানে মেয়ে ঘরছাড়া হলে অপহরণ মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে - Chief TV - চিফ টিভি

 আসিফ ইশতিয়া লিওন নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ

মিথ্যা অপহরণ মামলা দিয়ে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর বড়ভিটা মৌলভীপাড়া গ্রামের কয়েকজন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আসামিরা।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, একই গ্রামের বাদীনি মোছাঃসেলিনা বেগম(৩৯)এর মেয়ে মোছাঃখতুনে জান্নাত ফাতেমা(১৪) সঙ্গে জয়নাল আবেদিন (৪৬)এর পুত্র মোঃ আরিফুল ইসলাম (২০)এর প্রেমের সর্ম্পক ছিল। 

একপর্যায়ে উভয় একে অপরের সিদ্ধান্তক্রমে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে ভোরের সকালে দুজন দুজনার হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জনতে চাইলে তাদের যুগলদ্বয়কে এলাকার লোক রাস্তায় দেখতে পেয়ে ছেলের বাবা জয়নাল আবেদিনকে খবর দেন।জয়নাল আবেদিন ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে দ্রুতো সেখান থেকে যুগলদ্বয়কে নিয়ে এসে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেনজিরের বাড়িতে একপর্যায়ে উভয় পক্ষের অবিভাবকদের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে মেয়ের মা বাদীনি সেলিনা বেগম সেখানে কিছু শর্ত আরোপ করেন যা সম্পুর্ণ ভাবে অযৌক্তিক বলে তুলে ধরেন বৈঠকে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।সেখানে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্ত মেনেনিবেননা মর্মে শালিশী বৈঠক থেকে চলে যান এই সুকৌশলা সেলিনা বেগম।একই দিনে দুপুরের পর আবারও শালিশী বৈঠক বসানো হয় সেলিনার বাড়ির উঠানে সেখানে বাদীনি সেলিনা বেগম উপস্থিত হলে এবার সে নতুন কৌশল অবলম্বন করে বলেন ছেলে মেয়ে দুজনকেই থানায় দেওয়া হোক তাদের এমন শাস্তি হোক যেন তাদের দিকে তাকিয়ে গ্রামের আর কোন ছেলে মেয়ে এমন কাজ করতে না পারে।

এটিও ছিলো এই বাদীনি সেলিনার একটা বড় মাপের চালবাজি।ছেলে মেয়েকে একপর্যায়ে থানায় সোপর্দ করা হলে সেলিনা সেখান থেকে সুকৌশলে তার নাবালিকা মেয়ে খাতুনে জান্নাত ফাতেমাকে নিয়ে আসেন তার কাছে এদিকে গরিব পরিবারে বেড়ে ওঠা আরিফুলকেও নিজ জিম্মাদারিতে নেন তার বাবা জয়নাল আবেদিন। 

এদিকে এভাবে দিনক্ষণ পার হতে থাকলে সেলিনা বেগমের নাবালিকা মেয়ে আবারও যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন এই আরিফুল ইসলামের সাথে বিষয়টি আন্দাজ করে আরিফুলের পরিবারের লোকজনেরা।আরিফুল পরিবারের সকলের মুখের দিকে তাকিয়ে খাতুনে জান্নাতকে তার সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেছিলো একাধিকবার বলে জানান আরিফুলের পরিবার।কিন্তু মেয়ে নাছর বান্দা পারবেনা আরিফুলকে ছেড়ে থাকতে একপর্যায়ে আরিফুলকে বলে "তুমি আমায় বিয়ে না করলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো সহ নানা কথা" এসব বিষয় আরিফুল তার পরিবারের সাথে শেয়ার করলে মেয়ের মাকে জানান আরিফুলের পরিবার। ঐ দিনেই খাতুনে জান্নাত ফাতেমা সহজ সরল ছেলে আরিফুল কে সুকৌশলে বাড়ি থেকে কখন জানি নিয়ে চলে যায় সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননা আরিফুলের পরিবারের লোকেরা।

এবার সেই ঘটনাক্রম নতুন রুপে সাঁজ নিতে শুরু করেছে।এই খাতুনে জান্নাত ফাতেমার মা বাদীনি সেলিনা বেগম সারাক্ষণ বাজারের পাশে থাকা 'ছ' মিল ব্যবসায়ী জগদীশ এর 'ছ' মিলে অবস্থান করে সে নিয়েও রয়েছে নানা কানাকড়ি।সুকৌশলা এই নারী সেলিনা নিত্যদিন তার কি কর্ম আর কেনইবা তার এমন বেপরোয়া আচরন, এই সমাজজুরে তা যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।একপর্যায়ে জানা যায় গেল ২৮ মার্চ ২০২৪খ্রিঃ জাল টাকা এবং মাদক বিক্রেতা হিসাবে রংপুরে ধরা পরেন এই সুকৌশলা বাদীনি সেলিনা বেগম পুলিশের হাতে।

এদিকে ভুক্তভোগী জয়নাল ও তার পরিবার জানান সে তার মেয়েকে নিয়ে শালিশে বসলো থানায় সোপর্দ করতে বললো ছেলে মেয়েকে সেখানেও সোপর্দ করা হলো সব খানেই সে তার চাটুকারিতার পরিচয় বহন করেছিলো আমাদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য আর সেটা যখন পারেনী ঠিক তখনী সে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হয়রানি করছে আমাদেরকে,আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা করে।

তার সহযোগী বড়ভিটার 'ছ' মিল ব্যবসায়ী জগদীশ এই চাটুকারি মহিলা সেলিনার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আবার এই ভুক্তভোগী পরিবারকে উদ্দেশ্য করে রংপুরে সংবাদ সম্মেলনেও সংযুক্ত হয়েছেন বলে জানা যায়।

মেয়েকে বাদীনি নিজেই থানা থেকে হেফাজতে নিলেন,সেই মেয়ে কি করে অপহরণ হয় প্রশ্ন সচেতন মহলের মানুষের মাঝে আর আজ যখন মাদক আর জাল টাকার কারবারি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের হাতে তখন কেন দোষারোপ করা হচ্ছে ভুক্তভোগী এই গরিব পরিবারের লোকজনদের এমন প্রশ্ন এখন সমাজের প্রতিটি মানুষের মুখে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র মন্ডল জানান যুগলদ্বয়কে থানায় সোপর্দ করলে উভয়ের অবিভাবকেরা তাদের জিম্মাদারিত্বে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তাদের ছেলে মেয়েদেরকে।

কোন মন্তব্য নেই