শিরোনাম

নীলফামারীতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত থানায় অভিযোগ দায়ের - Chief TV - চিফ টিভি

নীলফামারীতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত থানায় অভিযোগ দায়ের - Chief TV - চিফ টিভি
                                                                                 ছবিঃ প্রতিনিধি
আসিফ ইশতিয়া লিওন নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের ভাটিয়া চৌপতি থেকে নিজ সুন্দর খাতা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের খোয়া ও পুরোনো ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ।এমন তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় তিন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সেখানে গেলে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয় এবং তাদের লাঞ্ছিত করে তাদের মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।পরে এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। 

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) দেবাশীষ রায় । এরআগে রবিবার বিকেল জাতীয় দৈনিক কালবেলার ডিমলা উপজেলা প্রতিনিধি জামান মৃধা, মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব (দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন) ও  মোঃ জাহিদুল ইসলাম (দৈনিক গণমুক্তি) পুরোনো খোয়ার উপর নিম্নমানের সামগ্রী ও মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে সড়ক কার্পেটিং এর দৃশ্য ধারনের সময়ে দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী নিবেদিতা রায়ের কাছে অনিয়মের  বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার হোসেন ও দায়িত্বে থাকা উপপ্রকৌশলি তাদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় তারা নিজেদের পরিচয় দিলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মরত  কর্মচারীদের নিয়ে তাদের মোবাইলফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।পরে স্থানীয়রা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে দুই কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। দরপত্রে মাধ্যমে কাজ পায় মেসার্স নিজাম ট্রেডার্স। তবে কাজ সম্পন্ন করছেন মোজাফফর হোসেন নামে সাব ঠিকাদার। কাজটি ২০২১ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মেয়াদ শেষের তিন বছর পরেও ৪০ ভাগ কাজ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, সড়কটি তিন বছর আগে খোয়া বিছিয়ে ফেলে রেখেছেন সাব ঠিকাদার মোজাফফর। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় সড়কের বেশিরভাগ ইটের খোয়া মাটির সাথে মিশে গেছে। সড়কের কোথাও খোয়া আছে আবার কোথাও নেই। এ অবস্থায় পুরোনো খোয়া অপসারণ না করেই নিম্নমানের পাথর ও মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে নামমাত্র কার্পেটিং করছে ঠিকাদার।

এবিষয়ে দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী নিবেদিতা রায়ের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।  

থানায় লিখিত অভিযোগের বিষয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই