শিরোনাম

বগুড়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সপ্তম শ্রেণীর কিশোর আটক - Chief TV - চিফ টিভি

বগুড়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সপ্তম শ্রেণীর কিশোর আটক - Chief TV - চিফ টিভি

শুভজিৎ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী (১৩) এক কিশোরীকে ধর্ষণ করায় প্রায় ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে বাদশা ইউসুফ আলী (১৫) নামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রকে আটক করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত বাদশা ইউসুফ হলেন, আলী চকপোতা বাগড়া হঠাৎ পাড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে ও বাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।

শনিবার(১১ই মে) সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম।

মামলা সুত্রে জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গত ২৯ অক্টোবর ২৩ সালে বাদশা ইউসুফ আলী বরই ও বিভিন্ন খাবার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে। গত ৭ মে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর পরিবার স্থানীয় শেরপুর ফ্যামিলি ক্লিনিক এন্ড ডায়গনোটিকস হাসপাতালে তাকে পরীক্ষা করলে কিশোরী গর্ভবতী হয়েছে বলে ডাক্তার জানান।

পরে শেরপুর থানায় হাজির হয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা লেবু বাদি হয়ে গত শুক্রবার (১০ মে) রাতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় রাতেই শেরপুর থানা পুলিশ আসামি বাদশাকে আটক করে।

অভিযুক্ত বাদশার মা আনিছা খাতুন বলেন, আমার ছেলে ধর্ষণ করেনি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। কিশোরীটিকে তার দুলাভাই ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ বাদশার মায়ের ।

তিনি আরো বলেন, কিশোরীকে ডিএনএ টেস্ট (পরীক্ষা) করার পর যদি আমার ছেলে অপরাধী হয়, তাহলে গর্ভবতী সেই কিশোরীকে আমার ছেলের পুত্রবধূ হিসেবে পারিবারিকভাবে মেনে নেব।

এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা অভিযুক্ত বাদশাকে আটক করতে সক্ষম হই। আটককৃত বাদশাকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই