শিরোনাম

শ্রীলঙ্কার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়: ওবায়দুল কাদের - Chief TV - চিফ টিভি

শ্রীলঙ্কার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়: ওবায়দুল কাদের
ছবি-প্রতিনিধি
ডেস্ক রিপোটারঃ

দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়- সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। 

গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 

তিনি বলেন, দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টেজ, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্রাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে। সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুুর সেতুতে ১১শ’ কোটি টাকা সাশ্রয়  হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে ১৮৩৫ কোটি টাকা। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রত্যেক তিন মাস পরপরই আমরা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেরত দিতে পারবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয় সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। কর্মকর্তাদের সৎ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়া উচিত বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সম্পদের হিসাব দিয়ে দেবেন বলেও জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই দিয়ে দেবে, সবাই প্রস্তুত। সবারই দেয়া উচিত। আমি মনে করি এতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, সম্পদের হিসাব দিতে আপত্তি কোথায়? আপনি যদি সততার সঙ্গে কার্যক্রম করেন তাহলে আপত্তি কিসের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও  কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই হোপ সো অ্যান্ড আই বিলিভ সো। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছে। এখন আলতের ব্যপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে। এই বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যাপার, তাই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষকদের সঙ্গে দ্রুত বসবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসাবসিটা তো বিষয় না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে- সেটা বলতে পারছি না। তবে সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে।

   

কোন মন্তব্য নেই