দুপচাঁচিয়ায় লাইসেন্সবিহীন এলপি গ্যাসের ব্যবসা - Chief TV - চিফ টিভি
![]() |
ছবি-প্রতিনিধি |
বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন দোকানে অবাধে চলছে ফায়ার লাইসেন্সবিহীন এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা ব্যবসা।
যেকোনো ধরনের বিপদজনক রক্ষায় নেই কোন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। মাছের খাবারের দোকান, সার ও কীটনাশক দোকান, মুদি দোকান, পান বিড়ি সিগারেটের দোকান, রড সিমেন্ট দোকান, হোটেল সহ এই সকল দোকানে প্রকাশ্যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।
এমনকি গ্রামগঞ্জের মোদির দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, মাঠ পর্যায়ে এইসব দোকানিদের ফায়ার লাইসেন্স তো দূরের কথা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও তাদের নেই।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরসহ ৬টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাজারেই বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডার কম বেশি বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বলেন দশটির কম সিলিন্ডার দোকানে থাকলে লাইসেন্স প্রয়োজন হয় না। এমন কথার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুপচাঁচিয়াতে অধিকাংশ এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী লাইসেন্স না নিয়েই অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরে বিভিন্ন দোকানে তালোড়া বাজার, আলতাফ নগর বাজার,তালুচ বাজার, চৌমুহনী বাজার, সাহারপুকুর বাজার, উপজেলার বিভিন্ন বাজার সহ এলাকার বিভিন্ন দোকানে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের মধ্যে আইনগত বাধ্যবাধকতা বিষয়ে কোন ধারণা নেই।
সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা জেনেও তারা সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবসা করছেন। বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারদের বিক্রয়ের প্ররোচিত হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা আইন অনুসরণ থেকে দূরে থাকছে। এইসব দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০ থেকে ২৫ পিস পর্যন্ত গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে মজুদ করে রাখা হয়েছে ।
অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন ২০০৩ ধারা মোতাবেক সরকার ঘোষিত ফায়ার সার্ভিস এর কোন জ্বালানি নিয়ে কেউ ব্যবসা করলে (মজুদ প্রসেসিং প্রক্রিয়াকরণ) এটা তাকে উক্ত বিধান অনুযায়ী ফায়ার লাইসেন্স করতে হবে। অন্যথায় উক্ত আইনে ১৭ ও ১৮ ধারা মোতাবেক তিন বছরের কারাদণ্ড অর্থদণ্ড ও উক্ত প্রতিষ্ঠানে বা স্থানের মালামাল সরকার বরাবর বাজেয়াপ্ত করা হবে। অনেক ব্যবসায়ী আইনের এই ধারা জেনেও তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে এই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করে আসছেন।
কোন মন্তব্য নেই