শিরোনাম

বিড়াল কান্ডে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে! - Chief TV

বিড়াল কান্ডে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে!

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বগুড়ায় বিড়ালকে কেন্দ্র করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করায় ওয়াহেদ ফকির নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ করেছে এক ব্যাক্তি।

বগুড়া সদর থানাধীন শিকারপুর পূর্বপাড়া এলাকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী শাহান আরা এই অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাদীর একটি পালিত পার্সিয়ান বিড়াল ছিলো। ১১ই নভেম্বর বিকাল আনুমানিক  ৪ টায় শাহান আরা ঘরের ভিতর তার পালিত বিড়ালকে দেখতে না পেয়ে বাড়ীর আশে পাশে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করবার পরেও তার সেই পালিত বিড়ালটি'র কোন সন্ধান পায় না। এক দিন পর ১২ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় লোকমুখে জানতে পারে যে, তার পালিত বিড়ালটি পার্শ্বের বাড়ীতে গেলে মিলুর স্ত্রী জেমি বিড়ালকে আঘাত করে এবং বিড়ালটি মারা যায়। 

শাহান আরা মিলুর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে সে বিড়ালটি দেখতে পায়নি বলে জানায়। কিন্তু, ঝামেলা বাঁধে জেমির ছোট ছেলেরে কথায়। আলাদাভাবে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তার মা বিড়ালকে আঘাত করলে বিড়াল মারা যায় এবং পরে বস্তায় ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয় জেমি।

অতঃপর জঙ্গলের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সেই বিড়াল। বিষয়টি নিয়ে জেমিকে জিজ্ঞাসা করলে সে বাজে আচরন করে এবং তার বড়ভাই ওয়াহেদ ফকির নামক সাংবাদিককে দিয়ে শাহানাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এদিকে ১২ নভেম্বর বিকেল আনুমানিক ৪ টার সময় বিবাদী সাংবাদিক ওয়াহেদ ফকির শাহান আরা'র বাড়িতে এসে তার নিকট ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা দাবি করে। শাহান আরা কিসের টাকা দেবে সেটি জিজ্ঞেস করলে ওয়াহেদ ফকির জানায়, টাকা না দিলে সে বিড়াল মারাকে কেন্দ্র করে শাহান আরা ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করে হয়রানি করার হুমকি দেয়। 

টাকা না দেয়ায় ১৩ নভেম্বর, বুধবার ওয়াহেদ ফকিরের ফেসবুক আইডি থেকে শাহান আরা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার মানহানিকর মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য ফেসবুকে পোষ্ট করে।

বাদী শাহান আরা জানান-, বিবাদী ও আমার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্য পোষ্ট করায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। আমি ফেসবুকে পোস্ট দেখে আমার পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। 

বিড়াল কান্ডের এই ঘটনার সাক্ষী হিসাবে রয়েছে, একই এলাকার আতিকুর রহমানের মেয়ে আনিকা বুশরা মাহী (১৮), হাপুনিয়া বানদিঘী গ্রামের চাঁন বাদশা প্রামানিকের ছেলে শিবলু (২৩), এরুলিয়া শাহপাড়া'র আব্দুল হালিমের ছেলে রাশেদ (৩২)। 

ফেসবুকে মিথ্যা পোস্ট দিয়ে সম্মানহানি করায় তার বিরুদ্ধে কঠোর বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী শাহান আরা।

কোন মন্তব্য নেই