শিরোনাম

জয়কা ইউনিয়ন বিএনপি ও সাধারণ নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায়, হয়রানির ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী উদ্যোগে মানববন্ধন

 


মোঃ মাহ্ফুজুল হক খান (জিকু)


অদ্য৪/১/২৫ ইং রোজ শনিবার বিকাল ৪ ঘঠিকায় নানশ্রী ফিসারী রোড় জয়কা ইউনিয়ন বিনপি'র নেতা-কর্মী ও এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জয়কা ইউনিয়নের নানশ্রীর বিভিন্ন মহল্লার গ্রামবাসী।


এলাকাবাসীর একটাই অভিযোগ এ্যাডভোকেট মোঃ শওকত কবীর খোকন (৪৬) একসময় আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। পরবর্তীতে সে জাতীয় পার্টির সাথেও হাত হাত করে জীবন পরিচালনা করেছে। সে তার আত্মীয়র একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রীপাস (পাস কোর্স) করে বার কাউন্সিল পরিক্ষা দিয়ে আইনজীবী হন। আইনজীবী হওয়ার পর থেকে সে ও তার তিন ভাই বেপরোয়া হয়ে পড়ে। চলতে থাকে একের পর এক মিথ্যা মামলার ব্যবসা। বিবিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে নিরীহ মানুষদের কাজ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা।
অভিযোগ আছে তার ভাই মোঃ মাহবুবুর রহমান রিপন করিমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও জয়কা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। সে তার রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ এর প্রভাব কাটিয়ে এলাকার মানুষের জিম্মি করে এই সব সাধারণ লোকজন এর কাজথেকে চাঁদা আদায় সহ দোকানপাট দখল করত। এলাকায় চাঁদা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালিত করত। আর মানুষের জায়গা জমিতে কাগজপত্রের কোন সমস্যা থাকলে সে সকল মামলা তার সহোদর ভাই ভুয়া আইনজীবী শওকত কবির খোকন ভাইকে দিয়ে দেন-দরবার করিয়ে মোটা অংঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।


তাছাড়া বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় হওয়া মামলায় ভুয়া ও লাইসেন্স বিহীন আইনজীবী শওকত কবীর খোকন নিজেকে আইনজীবী সমন্বয়ক ইত্যাদি পরিচয় দাবি করে মামলা বাণিজ্য শুরু করে। তার মামলা বাণিজ্যের বিশেষ করে শিকার হয় তার বিরুদ্ধে বিগত চারটি নির্বাচন করা নিরীহ মানুষ। ভোক্তভোগিদের
অভিযোগ তাকে ভোট না দেয়ায় মারধরের শিকার ও হতে হয়েছে।


আইনজীবী শওকত কবির খোকনের অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা থেকে গত ২৭/০৮/২০২৪ বহিষ্কার করে। এবং করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি থেকে গত ২০০৩ সালে বের করে দেয়া হয়। এর পরথেকে ঐ এলাকায় গ্রামবাসী সহ সকলের মতামত এই খোকন বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত নন।


কোন মন্তব্য নেই