সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ১ ব্যাক্তিকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশি মধ্যস্ততায় মুক্তি Chief TV News
উত্তেজিত জনতা ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল সহ ছবিলার কে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ছবিলার রহমান বলেন বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের ৩ জন চৌকিদার চেয়ারম্যান সাফিয়ার সাথে দেখা করার কথা বলে আমাকে পরিষদে ডেকে নিয়ে যায় আমি পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে শালিশের কথা বলে।
আমি তার কাছে সময় চাইলে সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং চৌকিদারদেরকে আমাকে আটকে রাখার নির্দেশ দিলে, তারা আমাকে আটক করে রাখে। কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ঐ ব্যক্তিকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন রামনগর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছাগল হারানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিশি মিমাংসার জন্য বাদি বিবাদি উভয়কে পরিষদে রাখা হয়েছিল এবং বিষয়টি শুক্রবার সকালে কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে জানানো হয়েছিল।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুব দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন মধু বলেন সম্পূর্ণ বে-আইনি ভাবে একজন চেয়ারম্যান সালিশের নামে কাউকে আটক/জিম্মি করে রাখতে পারেনা কনকনে শিতের মধ্য একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে আটকে রেখে আইন এবং মানবতার প্রতি চরম অবমাননা করেছেন। ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আল মাহমুদ ছোট্রু ও সদস্য সচিব মাহমুদ মোস্তফা পবিত্র জুম্নার দিনে একজন মানুষকে আটকে রেখে নামাজ আদায় করতে না দেওয়ার মত ঘিন্ন কাজে চেয়ারম্যান সাফিয়ার তিব্র সমালোচনা করে বে-আইনি আটকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়নটিতে জন সাধারণের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কোন মন্তব্য নেই