স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের সংশোধন ও ৭ দফা দাবি বায়োকেমিস্টদের - Chief TV News
স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ এর (৪) ধারা সংশোধন ও ক্লিনিকাল বায়োকেমিস্টদের ৭ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট। শনিবার তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনেরর ( বিএমএ) ভবনের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিএসিবির উপদেস্টামন্ডলীদের মধ্য থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসাইন উদ্দিন শেখর এবং সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ড. সোহেল আহমেদ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তৈরি করা স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন ২০২৪ এর খসড়া ইতিমধ্যে ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ৯ নং ধারা ৪ নং উপধারায় বলা হয়েছে সকল ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি রিপোর্টে বিএমডিসি রেজিস্টার্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকতে হবে। এর মানে হলো ল্যাবরেটরির সকল বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে শুধমাত্র ডাক্তাররা স্বাক্ষর করতে পারবেন। অন্য কেউ স্বাক্ষর করার জন্য উপযুক্ত নহে। এমন ধারা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক, অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক।
বায়োকেমিস্টদের সাত দফা:
১. স্বাস্থ্য নীতিমালায় বায়োকেমিস্টদের স্বীকৃতি: প্রস্তাবিত ২০২৪ স্বাস্থ্যনীতিতে বায্যেকেমিক্যাল, ইমিউনোলজিক্যাল এবং মলিকুলার টেস্টে বায়োকেমিস্টদের স্বাক্ষর প্রদানের বিষয় টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. বায়োকেমিস্টদের পেশাগত সুরক্ষা: যুগোপযোগী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয় নের মাধ্যমে বায়োকেমিস্টদের কর্মপরিধি এবং পেশাগত সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
৩. মেডিক্যাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির লাইসেন্স: লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে ডাক্তারদের পাশাপাশি বায়োকেমিস্ট বা ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট পদ বাধ্যতামূলক করতে হবে।।
৪. সরকারি হাসপাতালে পুনঃনিযোগ: সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালসমূহে বায়োকেমিস্ট লেকচারার নিয়োগ এবং বায়োকেমিস্ট পদ পুনঃস্থাপন করতে হবে।
৫. বায়োকেমিস্টদের পদ সৃষ্টির উদ্যোগ: বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে বায়োকেমিস্ট/ল্যাবরেটরি সায়েন্টিস্ট পদ সৃষ্টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. কমিটিতে প্রতিনিষিদ্ধ: স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণী কমিটিতে বিএসিবির একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৭. পদোন্নতির সুযোগ: সুনির্দিষ্ট অর্গানোগ্রাম এর মাধ্যমে বিভিন্ন পদের পদোন্নতির পথ সুগম করতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও অংশগ্রহণ করেন বিএসিবির আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান ও অধ্যাপক ফাতেমা খান মজলিশ, সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ড. আব্দুল মোত্তালিব। শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মমিনুল ইসলাম বিধান।
কোন মন্তব্য নেই