শিরোনাম

২০০ বছরের হালা বটের তল গাছটি আর নেই - Chief TV - চিফ টিভি

২০০ বছরের হালা বটের তল গাছটি আর নেই
ছবি-প্রতিনিধি
সৌরভ চন্দ্র রায়, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী হালা বটের তল নামের সেই বিখ্যাত হালা বটগাছটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। গাছটি ভেঙে পড়ায় স্থানীয় অনেক মানুষ কেঁদেছেন, দুঃখপ্রকাশ করেছেন জেলার জনপ্রতনিধিরা।

শনিবার (১ জুন) দিবাগত রাতে আকাশে মেঘের ঘনঘটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ঝড় আর প্রচণ্ড বৃষ্টি। এই ঝড় আর বৃষ্টির মধ্যেই মর মর বিকট শব্দে হঠাৎ ভেঙে পড়ে বটগাছটি। এই বটগাছের নামেই এখানকার নামকরণ করা হয় হালাবটের তল।

ক্রমাগত সবুজ হারানো এই বটগাছটি লালমনিরহাট শহরের হালাবটের তল হিসেবে পরিচিত সবুজের এক বড় আশ্রয়কেন্দ্র। এ বটগাছটির তলে রয়েছে প্রচুর ঘাস, তাই এই গাছের পাশ দিয়ে কোনো পথচারী হেঁটে গেলেই এখানে শুয়ে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর রওয়ানা দেন। হঠাৎ ঝড়ে ভেঙে পড়ে লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী ২০০ বছরের এই বটগাছটি।

ঐ বটগাছটি নিয়ে দেশের স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়েছে ফিচার নিউজ। প্রায় প্রতি শুক্রবার যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা ভিড় জমান এই হালা বটের গাছটি দেখার জন্য। অনেকে মনের বাসনা পূরণ করতেও মানত করতে আসেন এখানে। কয়েকশ বছরের এই বটগাছটি ভেঙে পড়ায় আজ থেকে এখানে আর কেউ আসবে না। ঐ গাছটিকেও আর দেখা যাবে না।

ভেঙে পড়া বটগাছের পাশে দাঁড়ানো একাধিক প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জন্মের পর থেকে এই গাছটিকে এরকমই দেখে আসছে। লালমনিরহাটের পুরাতন ঐতিহ্যের গাছগুলোর মধ্যে এই বটগাছ অন্যতম। হঠাৎ ঝড়ে ভেঙে পড়ায় লালমনিরহাটবাসী একটি ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ হারালো।

হালাবটের তলের খাদেম আকবর আলী বলেন,আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি এই গাছের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার অনেক কান্না পাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই