সারাদেশের চাহিদা ৪১ কোটি পাঠ্যবই, গেছে ৬ কোটি Chief TV News
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। প্রতিবারের ন্যায় বছরের শুরুতেই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের বই পাওয়ার কথা। এটাই বাংলাদেশের রেওয়াজ। কিন্তু এবার দেখাগেলো তার উল্টো চিত্র।
সারাদেশের স্কুলগুলোন চাহিদার ৪১ কোটি পাঠ্য বইয়ের মধ্যে গেছেমাত্র ৬ কোটি বই।
জানা যায়, বছরের প্রথম দিনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিন থেকে চারটি বই পেয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ওবাইদুল্লাহ বলেন, মাধ্যমিকে অষ্টম ও দশম শ্রেণির জন্য তিনটি করে বই পেয়েছেন। প্রাথমিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির জন্যই এসেছে তিনটি করে বই। প্রাক্-প্রাথমিকে দুটি বইয়ের মধ্যে একটি করে পেয়েছেন। যেসব বই এসেছে, তা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে।
রমনা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়। সেখানে গিয়ে জানা গেল, এই থানা কার্যালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মোট পাঠ্যবইয়ের চাহিদা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৪টি। কিন্তু অষ্টম শ্রেণির জন্য ২২ হাজার ৭৭০টি এবং দশম শ্রেণির জন্য ২২ হাজার ৫৫৪টি।
কমবেশি সারা দেশেই বছরের প্রথম দিন এমন চিত্র ছিল। ফলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রথম দিনে গতকাল নতুন বই পায়নি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) হিসাবেই মোট প্রায় ৪১ কোটি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে গত বছরের শেষ দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬ কোটি বই গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমাদের ছাত্রছাত্রীদের হাতে এখনই সব দিতে পারা গেল না, এ জন্য আমি তাদের অভিভাবকদের কাছে এবং তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে সান্ত্বনা যে যখন বইগুলো পাবে তোমরা, আগের থেকে সুন্দর দেখাবে এবং বছরের মাঝখানে পাতাগুলো ছিঁড়ে যাবে না।
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই প্রণয়ন এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে এনসিটিবি। করোনাকাল ছাড়া ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই তুলে দেওয়া হতো। তবে কোনো কোনো বছর কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয়ও হয়েছে।
তবে এবার নতুন বছরের জন্য সমস্যাটি আরও তীব্র হয়েছে। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতেও সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।
কোন মন্তব্য নেই